jugantor
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
উলফাকে শক্তিশালী করতে অস্ত্রের চালান

  চট্টগ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি:  

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:১৭:২৬  | 

প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে শক্তিশালী করতে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আদালত। অস্ত্র আটক মামলায় ২৫৪ ও চোরাচালান মামলায় ২৬০ পৃষ্ঠা করে মোট ৫১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত আট পৃষ্ঠা করে মোট ১৬ পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। রায় ঘোষণার পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে রায় প্রদানকারী চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মুজিবুর রহমান পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেন। এটি এখন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে শক্তিশালী করতে দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাংলাদেশের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত বিষ্মিত হয়েছেন। এছাড়া সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের নাম সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাদের দণ্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া এখানে রাজনৈতিক হয়রানির কোনো সুযোগ নেই। আসামীদের বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদেরই অধীনস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এরা।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় চোরাচালান (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার রায় দেন বিচারক। চোরাচালান মামলার রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই রায়ে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। একই ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় একই আসামীদের ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৯ (সি) ও ১৯ (এফ) ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।  
নিজামী ও বাবর ছাড়া দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া, এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক, চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ, ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক আব্দুস সোবহান।

সাবমিট

দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

উলফাকে শক্তিশালী করতে অস্ত্রের চালান
 চট্টগ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি: 
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৩:১৭ পিএম  | 

প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে শক্তিশালী করতে অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আদালত। অস্ত্র আটক মামলায় ২৫৪ ও চোরাচালান মামলায় ২৬০ পৃষ্ঠা করে মোট ৫১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত আট পৃষ্ঠা করে মোট ১৬ পৃষ্ঠার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। রায় ঘোষণার পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে রায় প্রদানকারী চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মুজিবুর রহমান পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করেন। এটি এখন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে শক্তিশালী করতে দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাংলাদেশের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা এতে সহযোগিতা করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আদালত বিষ্মিত হয়েছেন। এছাড়া সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের নাম সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে তাদের দণ্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া এখানে রাজনৈতিক হয়রানির কোনো সুযোগ নেই। আসামীদের বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদেরই অধীনস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এরা।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় চোরাচালান (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার রায় দেন বিচারক। চোরাচালান মামলার রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই রায়ে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। একই ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় একই আসামীদের ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৯ (সি) ও ১৯ (এফ) ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।  
নিজামী ও বাবর ছাড়া দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া, এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক, চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ, ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক আব্দুস সোবহান।

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র