jugantor
র‌্যাবের নজরদারিতে আসছে ব্লগার
উগ্রপন্থীদের হাত থেকে সুরক্ষা দেবে * ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলে ব্যবস্থা * জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স

  সৈয়দ আতিক  

২৭ আগস্ট ২০১৫, ০০:০০:০০  | 

ব্লগারদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। ব্লগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখছেন কিনা এদিকটা দেখছে র‌্যাব। একই ভাবে লেখাকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থীদের প্রাণঘাতি হামলা থেকেও তাদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবে বিষেশায়িত সংস্থাটির সদস্যরা। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সংস্থাটিকে এই কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও নজরদারি এবং অনুসন্ধান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে যে লিখবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীকে। সরকারের এ ধরনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই র‌্যাবের কর্মকর্তারা এই বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা উগ্রপন্থীদের ধরতে জোরদার অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তারা প্রয়োজনে ব্লগারদেরও আইনের আওতায় আনবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যুগান্তরকে এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। যারাই উস্কানিমূলকভাবে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আইনশৃংখলা রক্ষায় র‌্যাব সবসময় আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর ভূমিকা পালন করে থাকে। কয়েকজন ব্লগার খুনের ঘটনা তদন্তে দেখা গেছে, ব্লগের লেখালেখির কারণে তারা উগ্রপন্থীদের টার্গেট হয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্লগ, ইন্টারনেট বা যে কোনো সামাজিক মাধ্যমের ওপর র‌্যাব নজর রাখছে। এতে যদি দেখা যায়, কোনো ব্লগারকে কেউ হুমকি দিচ্ছে তখন র‌্যাব তার সুরক্ষার ব্যবস্থাও করবে। তিনি বলেন, উগ্রপন্থীরা যেমন অপরাধ করে ছাড় পাচ্ছে না তেমনি সামাজিক মাধ্যমে কেউ আইন লংঘন করে কিছু লিখলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব।

সম্প্রতি দেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। খুন-ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন ব্লগার খুন হন। ব্লগার খুনের বিষয়টি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা হয়। এ সময় সরকারের মন্ত্রী এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্লগারদের নানা ভাবে সতর্ক করেন। তাদের লেখালেখি এবং চলাচলের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধান হওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়। ব্লগার খুনের ঘটনা তদন্ত করছেন এমন একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ব্লগসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করায় ব্লগারদের সঙ্গে উগ্রপন্থীদের মতাদর্শগত বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরেই এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটছে বলে তারা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন। এর পর পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি স্পষ্ট ভাষায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ১১ আগস্ট ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্লগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ লেখালেখি করলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই কথা বলেছেন পুলিশ প্রধানও।

আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে ব্লগার ও উগ্রপন্থী ইস্যু আন্তর্জাতিকভাবেও আলোচিত। দুটি গ্রুপের মতাদর্শগত কারণে কয়েকজন ব্লগার খুন হয়েছেন। ঝুঁকিতে আছেন আরও অনেকে। জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ব্লগার ও উগ্রপন্থীদের যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তা কোনো ভাবেই থামছে না। এ অবস্থায় র‌্যাবের পক্ষে নতুন করে আভিযানিক কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। আর আইনশৃংখলা বাহিনী যে কোনো ধরনের সহিংতা বা নাশকতা এবং উস্কানি মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স দেখাবে।

আইনশৃংখলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বিশেষায়িত বাহিনী র‌্যাব এর আগে চরমপন্থীদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত পুরস্কার ঘোষিত অনেক সন্ত্রাসী র‌্যাবের ভয়ে পালিয়ে আছেন। তবে, এখন নতুন প্রজম্মের কিছু সন্ত্রাসী মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি কয়েকটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর গোপন আশ্রয়ে চলে যায় নতুন সন্ত্রাসীরা। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, র‌্যাবের নজরদারি প্রতিষ্ঠা হলে ব্লগ বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ধর্মকে কটাক্ষ করে লেখাও বন্ধ হয়ে যাবে। একই ভাবে উগ্রপন্থীরা যে ভাবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে তাও বন্ধ হবে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ব্লগ বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে যারা লেখালেখি করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের তালিকা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে এসেছে। এদের নিরাপত্তার দিকটিও দেখছে র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। একই ভাবে এরা ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করছে কিনা তাও মনিটর করছে র‌্যাব। তালিকায় আছেন আসিফ মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন, অন্য আজাদ, বিপ্লব কান্তি দে, দাড়িপাল্লা ধমাধম, নিতাই ভট্টাচার্য, ইব্রাহীম খলিল সবাগ, (সুমন সওদাগর) কৈশীক, আহমেদ, নুরনবী দুলাল, পারভেজ আলম, রতন সন্যাসী, সৈকত চৌধুরী, শর্মী আমিন, সৌমিত্র মজুমদার (সৌম্য), আল্লামা শয়তান, (বিপ্লব) শুভজিদ ভৌমিক, সুমিত চৌধুরী, সৈকত বড়ুয়া, সুব্রত শুভ ও সুসান্ত দাসগুপ্ত উল্লেখযোগ্য। এ তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।


 

সাবমিট

র‌্যাবের নজরদারিতে আসছে ব্লগার

উগ্রপন্থীদের হাত থেকে সুরক্ষা দেবে * ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করলে ব্যবস্থা * জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
 সৈয়দ আতিক 
২৭ আগস্ট ২০১৫, ১২:০০ এএম  | 

ব্লগারদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। ব্লগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কিছু লিখছেন কিনা এদিকটা দেখছে র‌্যাব। একই ভাবে লেখাকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থীদের প্রাণঘাতি হামলা থেকেও তাদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবে বিষেশায়িত সংস্থাটির সদস্যরা। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সংস্থাটিকে এই কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও নজরদারি এবং অনুসন্ধান বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে যে লিখবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীকে। সরকারের এ ধরনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই র‌্যাবের কর্মকর্তারা এই বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা উগ্রপন্থীদের ধরতে জোরদার অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তারা প্রয়োজনে ব্লগারদেরও আইনের আওতায় আনবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যুগান্তরকে এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। যারাই উস্কানিমূলকভাবে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে। উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড়া দেয়া হবে না।

র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আইনশৃংখলা রক্ষায় র‌্যাব সবসময় আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর ভূমিকা পালন করে থাকে। কয়েকজন ব্লগার খুনের ঘটনা তদন্তে দেখা গেছে, ব্লগের লেখালেখির কারণে তারা উগ্রপন্থীদের টার্গেট হয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্লগ, ইন্টারনেট বা যে কোনো সামাজিক মাধ্যমের ওপর র‌্যাব নজর রাখছে। এতে যদি দেখা যায়, কোনো ব্লগারকে কেউ হুমকি দিচ্ছে তখন র‌্যাব তার সুরক্ষার ব্যবস্থাও করবে। তিনি বলেন, উগ্রপন্থীরা যেমন অপরাধ করে ছাড় পাচ্ছে না তেমনি সামাজিক মাধ্যমে কেউ আইন লংঘন করে কিছু লিখলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব।

সম্প্রতি দেশে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। খুন-ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন ব্লগার খুন হন। ব্লগার খুনের বিষয়টি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা হয়। এ সময় সরকারের মন্ত্রী এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্লগারদের নানা ভাবে সতর্ক করেন। তাদের লেখালেখি এবং চলাচলের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধান হওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়। ব্লগার খুনের ঘটনা তদন্ত করছেন এমন একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ব্লগসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করায় ব্লগারদের সঙ্গে উগ্রপন্থীদের মতাদর্শগত বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরেই এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটছে বলে তারা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন। এর পর পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি স্পষ্ট ভাষায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ১১ আগস্ট ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্লগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ লেখালেখি করলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই কথা বলেছেন পুলিশ প্রধানও।

আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে ব্লগার ও উগ্রপন্থী ইস্যু আন্তর্জাতিকভাবেও আলোচিত। দুটি গ্রুপের মতাদর্শগত কারণে কয়েকজন ব্লগার খুন হয়েছেন। ঝুঁকিতে আছেন আরও অনেকে। জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ব্লগার ও উগ্রপন্থীদের যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তা কোনো ভাবেই থামছে না। এ অবস্থায় র‌্যাবের পক্ষে নতুন করে আভিযানিক কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। আর আইনশৃংখলা বাহিনী যে কোনো ধরনের সহিংতা বা নাশকতা এবং উস্কানি মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স দেখাবে।

আইনশৃংখলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বিশেষায়িত বাহিনী র‌্যাব এর আগে চরমপন্থীদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত পুরস্কার ঘোষিত অনেক সন্ত্রাসী র‌্যাবের ভয়ে পালিয়ে আছেন। তবে, এখন নতুন প্রজম্মের কিছু সন্ত্রাসী মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি কয়েকটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার পর গোপন আশ্রয়ে চলে যায় নতুন সন্ত্রাসীরা। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, র‌্যাবের নজরদারি প্রতিষ্ঠা হলে ব্লগ বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ধর্মকে কটাক্ষ করে লেখাও বন্ধ হয়ে যাবে। একই ভাবে উগ্রপন্থীরা যে ভাবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে তাও বন্ধ হবে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ব্লগ বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে যারা লেখালেখি করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের তালিকা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে এসেছে। এদের নিরাপত্তার দিকটিও দেখছে র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। একই ভাবে এরা ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করছে কিনা তাও মনিটর করছে র‌্যাব। তালিকায় আছেন আসিফ মহিউদ্দিন, আবুল কাশেম, আলমগীর হোসেন, অন্য আজাদ, বিপ্লব কান্তি দে, দাড়িপাল্লা ধমাধম, নিতাই ভট্টাচার্য, ইব্রাহীম খলিল সবাগ, (সুমন সওদাগর) কৈশীক, আহমেদ, নুরনবী দুলাল, পারভেজ আলম, রতন সন্যাসী, সৈকত চৌধুরী, শর্মী আমিন, সৌমিত্র মজুমদার (সৌম্য), আল্লামা শয়তান, (বিপ্লব) শুভজিদ ভৌমিক, সুমিত চৌধুরী, সৈকত বড়ুয়া, সুব্রত শুভ ও সুসান্ত দাসগুপ্ত উল্লেখযোগ্য। এ তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।


 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র