আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি ২০ কাপের অফিসিয়াল ‘ইভেন্ট সং’- ‘চার ছক্কা হইহই’ গানটি বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে। ফুয়াদের সুর ও সঙ্গীতে এই গানে অন্য শিল্পীদের পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই। শুধু তিনি একা গানটি গাননি। তার সঙ্গে আরও গেয়েছেন কণা, জোহান, সানভির হুদা, কৌশিক ও এলিটা। এ গান সম্পর্কে পান্থ কানাই বলেন, ‘গানটি গাওয়ার সময় বুঝতে পারিনি, এত বেশি জনপ্রিয়তা পাবে। তারপর আবার এ আর রহমানের সঙ্গে একই স্টেজে গাইতে পেরে, এখন বুঝতে পারছি আমার গানের জীবন সার্থক হয়ে গেছে।’ একদিনে কি তিনি তার গানের জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেলেন। না, এর জন্য দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি এই সঙ্গীত অঙ্গনে শ্রম দিয়েছেন। প্রথম শ্রেণী থেকে তবলা বাজানো শুরু করেছেন। প্রায় টানা ১৪ বছর এই সাধনায় তিনি ছিলেন মগ্ন। পান্থ কানাই যখন সবেমাত্র স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন, তখনই গড়ে তুলেছিলেন ‘ওসান’ ব্যান্ডদল। চট্টগ্রামজুড়ে সাড়া পড়ে গিয়েছিল তাদের ব্যান্ড দলের কার্যক্রমে। বাংলাদেশে সঙ্গীত অঙ্গনের বড় বড় শিল্পীর বাড়ি চট্টগ্রামে। তাই তিনি খুব সহজে পার্থ বড়ুয়ার হাত ধরে ঢাকায় চলে এলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ড্রামসে ঝড় তুলে বাজাতে লাগলেন সোলস দলে। তার ড্রামসের ঝড়ে মুগ্ধ হলেন বাড়ির পাশের জেমস ভাই। তিনি বলেন, ‘জেমস ভাই আর আমি চট্টগ্রামের একই এলাকার মানুষ। তাই তিনি ভালোবেসে আমাকে ‘নগরবাউল’ দলে নিয়ে আসেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে বাজিয়েছি।’ কিন্তু ২০০১ সালে অজানা কারণে তিনি ড্রামসের পাশাপাশি নিজেই গান গাইতে শুরু করলেন। গড়ে তুললেন ‘তাণ্ডব’ ব্যান্ড দল। মুক্তি দিলেন ‘মা’ অ্যালবাম। এছাড়া বাজারে আছে- আদম হাওয়া, মন কারিগর, নৌকা জমিন নাটাই অ্যালবাম। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান ২০০২ সালের শেষের দিকে ‘ওরে নীল দরিয়া’ গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ মনে হল, অনেক দিন আগের গান একটু রিমেক করে গেয়ে দেখি। আমি ভাবতেই পারিনি, এই গান আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এত বেশি সাড়া পেয়েছিলাম ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ সেই থেকে আজও তিনি ড্রামস বাজাচ্ছেন আর সঙ্গে আছে গান। বর্তমানে তিনি অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস দলের সঙ্গে আছেন। ড্রামসের ঝড়ের মাঝে মাঝে মিলাচ্ছেন কণ্ঠ। খুব শিগগির আসছে তাদের নতুন অ্যালবাম। তিনি বলেন, ‘অ্যালবামের বেশির ভাগ গান গেয়েছে অর্ণব। এখানে আমি বাজাচ্ছি এবং গানে সুর করেছি। অ্যালবামটির নাম এখনও ঠিক হয়নি, তবে সবাইকে তাড়াতাড়ি জানানো হবে।’ পান্থ কানাই ভালোবাসেন ড্রামসের সঙ্গে গান গাইতে। তার রক্তে মিশে আছে ড্রামসের বাজনার ছন্দ ও গান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পান্থ কানাই সমাচার
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি ২০ কাপের অফিসিয়াল ‘ইভেন্ট সং’- ‘চার ছক্কা হইহই’ গানটি বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে। ফুয়াদের সুর ও সঙ্গীতে এই গানে অন্য শিল্পীদের পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন পান্থ কানাই। শুধু তিনি একা গানটি গাননি। তার সঙ্গে আরও গেয়েছেন কণা, জোহান, সানভির হুদা, কৌশিক ও এলিটা। এ গান সম্পর্কে পান্থ কানাই বলেন, ‘গানটি গাওয়ার সময় বুঝতে পারিনি, এত বেশি জনপ্রিয়তা পাবে। তারপর আবার এ আর রহমানের সঙ্গে একই স্টেজে গাইতে পেরে, এখন বুঝতে পারছি আমার গানের জীবন সার্থক হয়ে গেছে।’ একদিনে কি তিনি তার গানের জীবনের সার্থকতা খুঁজে পেলেন। না, এর জন্য দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি এই সঙ্গীত অঙ্গনে শ্রম দিয়েছেন। প্রথম শ্রেণী থেকে তবলা বাজানো শুরু করেছেন। প্রায় টানা ১৪ বছর এই সাধনায় তিনি ছিলেন মগ্ন। পান্থ কানাই যখন সবেমাত্র স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছেন, তখনই গড়ে তুলেছিলেন ‘ওসান’ ব্যান্ডদল। চট্টগ্রামজুড়ে সাড়া পড়ে গিয়েছিল তাদের ব্যান্ড দলের কার্যক্রমে। বাংলাদেশে সঙ্গীত অঙ্গনের বড় বড় শিল্পীর বাড়ি চট্টগ্রামে। তাই তিনি খুব সহজে পার্থ বড়ুয়ার হাত ধরে ঢাকায় চলে এলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ড্রামসে ঝড় তুলে বাজাতে লাগলেন সোলস দলে। তার ড্রামসের ঝড়ে মুগ্ধ হলেন বাড়ির পাশের জেমস ভাই। তিনি বলেন, ‘জেমস ভাই আর আমি চট্টগ্রামের একই এলাকার মানুষ। তাই তিনি ভালোবেসে আমাকে ‘নগরবাউল’ দলে নিয়ে আসেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের শেষ পর্যন্ত আমি সেখানে বাজিয়েছি।’ কিন্তু ২০০১ সালে অজানা কারণে তিনি ড্রামসের পাশাপাশি নিজেই গান গাইতে শুরু করলেন। গড়ে তুললেন ‘তাণ্ডব’ ব্যান্ড দল। মুক্তি দিলেন ‘মা’ অ্যালবাম। এছাড়া বাজারে আছে- আদম হাওয়া, মন কারিগর, নৌকা জমিন নাটাই অ্যালবাম। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান ২০০২ সালের শেষের দিকে ‘ওরে নীল দরিয়া’ গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ মনে হল, অনেক দিন আগের গান একটু রিমেক করে গেয়ে দেখি। আমি ভাবতেই পারিনি, এই গান আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এত বেশি সাড়া পেয়েছিলাম ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ সেই থেকে আজও তিনি ড্রামস বাজাচ্ছেন আর সঙ্গে আছে গান। বর্তমানে তিনি অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস দলের সঙ্গে আছেন। ড্রামসের ঝড়ের মাঝে মাঝে মিলাচ্ছেন কণ্ঠ। খুব শিগগির আসছে তাদের নতুন অ্যালবাম। তিনি বলেন, ‘অ্যালবামের বেশির ভাগ গান গেয়েছে অর্ণব। এখানে আমি বাজাচ্ছি এবং গানে সুর করেছি। অ্যালবামটির নাম এখনও ঠিক হয়নি, তবে সবাইকে তাড়াতাড়ি জানানো হবে।’ পান্থ কানাই ভালোবাসেন ড্রামসের সঙ্গে গান গাইতে। তার রক্তে মিশে আছে ড্রামসের বাজনার ছন্দ ও গান।