ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অন্যরকম একদিন
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি
০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২৭:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
সেই সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ ঢলতে-ঢলতে ক্লাসে ঢোকা। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়ি ফেরা। বছরজুড়েই যেন ব্যস্ততার মহোৎসব। আহা! আড্ডাবাজির সময় কোথায়?
সব ভুল ভেঙে দিয়ে আড্ডা, গান আর হইচইয়ে মেতে উঠেছিল চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব (সংক্ষেপে আইসেক) ‘ইঞ্জিনিয়ারিং নাইট’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের পাশাপাশি সিআইইউর শিক্ষক, উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। নাচ, গান, আবৃত্তি কিংবা মজার অভিজ্ঞতা।
কী ছিল না সেদিনের অনুষ্ঠানে? সবার অংশগ্রহণ আর মুহুর্মুহু করতালি-পুরো আয়োজন যেন হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত।
দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠান সূচির প্রথমেই ছিল ফুল দিয়ে নতুন ডিনকে বরণ।
এই সময় সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল যুগে শিক্ষার্থীদের উচিত প্রযুক্তির উপকরণসমূহ কাজে লাগিয়ে বেশি করে জ্ঞান অর্জনে মনোযোগী হওয়া।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আইটি পারদর্শীতা বাড়াতে সিআইইউতে তিনটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে যুগোপযোগী ও নিত্য-নতুন মডেলের অনেক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
নতুন ডিনের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এমনটা প্রত্যাশার কথা জানান উপাচার্য।
সিআইইউর স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এসএসই) নতুন ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের আরও চৌকস ও দক্ষ হয়ে গড়ে তুলতে বেশি বেশি ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর নজর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এই স্কুলের (অনুষদ) সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
সিআইইউর আইসেক ক্লাবের ফ্যাকাল্টি ইনচার্জ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ, এসএসই’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রভাষক গোলাপ কান্তি দে, হাবিবুর রহমান, ইরতিজা চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে কৃতী দুই শিক্ষার্থী হুমায়রা আমিন ও সাহেদ বিন রফিকের উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন প্রিতু, রেজওয়ানা, পাপড়ি, রাবেয়া, দোলা, সপ্তবর্ণা, সুস্মিতা, জয়রাম সেন প্রমুখ।
আইসেক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থী আসিফ সিদ্দিক বলেন, খুবই চমৎকার কেটেছে দিনটি। ক্লাসের ব্যস্ততার ফাঁকে এই ধরণের আয়োজন ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমি মনে করি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি
ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অন্যরকম একদিন
সেই সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ ঢলতে-ঢলতে ক্লাসে ঢোকা। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই বাড়ি ফেরা। বছরজুড়েই যেন ব্যস্ততার মহোৎসব। আহা! আড্ডাবাজির সময় কোথায়?
সব ভুল ভেঙে দিয়ে আড্ডা, গান আর হইচইয়ে মেতে উঠেছিল চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব (সংক্ষেপে আইসেক) ‘ইঞ্জিনিয়ারিং নাইট’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীদের পাশাপাশি সিআইইউর শিক্ষক, উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। নাচ, গান, আবৃত্তি কিংবা মজার অভিজ্ঞতা।
কী ছিল না সেদিনের অনুষ্ঠানে? সবার অংশগ্রহণ আর মুহুর্মুহু করতালি-পুরো আয়োজন যেন হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত।
দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠান সূচির প্রথমেই ছিল ফুল দিয়ে নতুন ডিনকে বরণ।
এই সময় সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল যুগে শিক্ষার্থীদের উচিত প্রযুক্তির উপকরণসমূহ কাজে লাগিয়ে বেশি করে জ্ঞান অর্জনে মনোযোগী হওয়া।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আইটি পারদর্শীতা বাড়াতে সিআইইউতে তিনটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে যুগোপযোগী ও নিত্য-নতুন মডেলের অনেক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে।
নতুন ডিনের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এমনটা প্রত্যাশার কথা জানান উপাচার্য।
সিআইইউর স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এসএসই) নতুন ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ ইকবাল বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের আরও চৌকস ও দক্ষ হয়ে গড়ে তুলতে বেশি বেশি ব্যবহারিক জ্ঞানের ওপর নজর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
সততা, নিষ্ঠা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে এই স্কুলের (অনুষদ) সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করবো।
সিআইইউর আইসেক ক্লাবের ফ্যাকাল্টি ইনচার্জ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ, এসএসই’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, প্রভাষক গোলাপ কান্তি দে, হাবিবুর রহমান, ইরতিজা চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে কৃতী দুই শিক্ষার্থী হুমায়রা আমিন ও সাহেদ বিন রফিকের উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন প্রিতু, রেজওয়ানা, পাপড়ি, রাবেয়া, দোলা, সপ্তবর্ণা, সুস্মিতা, জয়রাম সেন প্রমুখ।
আইসেক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষার্থী আসিফ সিদ্দিক বলেন, খুবই চমৎকার কেটেছে দিনটি। ক্লাসের ব্যস্ততার ফাঁকে এই ধরণের আয়োজন ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমি মনে করি।