৫৪ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান
প্রাথমিকে নিয়োগ দাবি
যুগান্তর রিপোর্ট
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:০০:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
প্যানেলের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ৫৪তম দিনেও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে ৪৫তম দিনেও আমরণ অনশন পালন করছেন ২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগপ্রত্যাশীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জানান, ২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ২৪ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়। এর পর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। শূন্যপদ বাকি রেখেই নিয়োগ দেয়া হয় মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও তাদের বিষয়ে কোনো বিবেচনা করা হয়নি।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে স্থগিত করা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশসহ রাজধানীসহ জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের ডিও নিয়ে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আবেদন জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ছয় বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটিমাত্র শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এ পরীক্ষায় ২৪ লাখ প্রার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫৫ হাজার লিখিত পরীক্ষায় পাস করলেও ১৮ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকলেও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। আগে এ পদ্ধতি অনুসরণ হলেও গত ৯ মাস ধরে যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল কাদের, প্যানেলপ্রত্যাশী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান, প্রচার সম্পাদক মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া, মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ নিয়োগ প্রার্থী বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রাথমিকে নিয়োগ দাবি
৫৪ দিন ধরে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান
প্যানেলের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ৫৪তম দিনেও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে ৪৫তম দিনেও আমরণ অনশন পালন করছেন ২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগপ্রত্যাশীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
২০১৮ সালে নিয়মিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জানান, ২০১৮ সালের নিয়মিত শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ২৪ লাখ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে চায়। এর পর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন। শূন্যপদ বাকি রেখেই নিয়োগ দেয়া হয় মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ১৪৮ জন প্যানেলভুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও তাদের বিষয়ে কোনো বিবেচনা করা হয়নি।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে স্থগিত করা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে প্যানেলে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশসহ রাজধানীসহ জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সংসদ সদস্যদের ডিও নিয়ে মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আবেদন জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত ছয় বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটিমাত্র শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এ পরীক্ষায় ২৪ লাখ প্রার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫৫ হাজার লিখিত পরীক্ষায় পাস করলেও ১৮ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়।
তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকলেও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। আগে এ পদ্ধতি অনুসরণ হলেও গত ৯ মাস ধরে যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল কাদের, প্যানেলপ্রত্যাশী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান, প্রচার সম্পাদক মো. ইলিয়াস ভূঁইয়া, মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ নিয়োগ প্রার্থী বক্তব্য রাখেন।