শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৪:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এই দাবিতে সোমবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলেপুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও১৫ জন শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ তার বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্য জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তার স্থলে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাস বন্ধের প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও এক হও’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানব না’, ‘পরীক্ষা কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হল কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হল থেকেও শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে তারা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রোববার চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকালের পর থেকে উত্তপ্ত হতে থাকে ক্যাম্পাস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত ১২টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এই দাবিতে সোমবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১৫ জন শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ তার বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। উপাচার্য জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তার স্থলে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাস বন্ধের প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও এক হও’, ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানব না’, ‘পরীক্ষা কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হল কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হল থেকেও শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে তাদের সঙ্গে যোগ দেন। পরে তারা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। রোববার চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিকালের পর থেকে উত্তপ্ত হতে থাকে ক্যাম্পাস।