কুবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পালটাপালটি অবস্থান
কুবি প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০২২, ২১:০৭:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়া নিয়ে পালটাপালটি অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের একটি অংশ রেজিস্ট্রার দফতরে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করলেও আরেকটি অংশ তালা লাগানোর বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পক্ষের দাবি- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পূরণ না করার অভিযোগে শিক্ষক থেকে হওয়া রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের অপসারণ দাবি করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির একটি অংশ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন আশ্বাস দিয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ করেননি শিক্ষক থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া রেজিস্ট্রার। সেজন্য তাকে অপসারণ করে সেখানে কর্মকর্তা থেকেই কাউকে বসানোর দাবি করছেন তারা।
কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে গত ৪ বছরে আমরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। তাই আমরা কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দেওয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, কর্মকর্তা সমিতি থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্য কোনো সংগঠন থেকে তালা ঝুলানো হতে পারে।
এদিকে রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছেন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ৮২ জন কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার দফতরে তালা ও বর্তমান প্রশাসনকে অদক্ষ প্রশাসন বলে অবহিত ও অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সাধারণ কর্মচারীরা অবগত নয়। কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের বিষয়ে আমরা সাধারণ কর্মচারীরা সবসময় একমত ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
তারা আরও বলেন, সমিতি যদি সাধারণ কর্মচারীদের মতামত না নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়, যা কর্মচারী চাকরি বিধির নিয়ম পরিপন্থী এবং যার জন্য পরবর্তিতে সাধারণ কর্মচারীদের ক্ষতি হয় এবং বর্হিবিশ্বে ও সারা বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো বিষয়ে আমরা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো একমত ছিলাম না।
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, গুটিকয়েক ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দিয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণ চেয়েছেন। তারা রেজিস্ট্রারকে অদক্ষ বলেছেন। আমরা অপসারণ চাই না। তবে আট দফা দাবি পূরণের জন্য আমরা আন্দোলন করব।
হাতাহাতির বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করে দিয়েছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পালটাপালটি অবস্থান
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়া নিয়ে পালটাপালটি অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের একটি অংশ রেজিস্ট্রার দফতরে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করলেও আরেকটি অংশ তালা লাগানোর বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পক্ষের দাবি- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পূরণ না করার অভিযোগে শিক্ষক থেকে হওয়া রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের অপসারণ দাবি করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির একটি অংশ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন আশ্বাস দিয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ করেননি শিক্ষক থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া রেজিস্ট্রার। সেজন্য তাকে অপসারণ করে সেখানে কর্মকর্তা থেকেই কাউকে বসানোর দাবি করছেন তারা।
কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে গত ৪ বছরে আমরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। তাই আমরা কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দেওয়ার জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, কর্মকর্তা সমিতি থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্য কোনো সংগঠন থেকে তালা ঝুলানো হতে পারে।
এদিকে রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছেন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ৮২ জন কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার দফতরে তালা ও বর্তমান প্রশাসনকে অদক্ষ প্রশাসন বলে অবহিত ও অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সাধারণ কর্মচারীরা অবগত নয়। কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের বিষয়ে আমরা সাধারণ কর্মচারীরা সবসময় একমত ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
তারা আরও বলেন, সমিতি যদি সাধারণ কর্মচারীদের মতামত না নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়, যা কর্মচারী চাকরি বিধির নিয়ম পরিপন্থী এবং যার জন্য পরবর্তিতে সাধারণ কর্মচারীদের ক্ষতি হয় এবং বর্হিবিশ্বে ও সারা বাংলাদেশে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কোনো বিষয়ে আমরা সাধারণ কর্মচারীরা কখনো একমত ছিলাম না।
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, গুটিকয়েক ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দিয়ে রেজিস্ট্রারের অপসারণ চেয়েছেন। তারা রেজিস্ট্রারকে অদক্ষ বলেছেন। আমরা অপসারণ চাই না। তবে আট দফা দাবি পূরণের জন্য আমরা আন্দোলন করব।
হাতাহাতির বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, দুটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করে দিয়েছি।