রাবিতে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগে ছাত্রকে সাময়িক বহিস্কার
যুগান্তর ডেস্ক
২৯ জুন ২০২২, ১৭:২৬:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগে আশিক উল্লাহ নামের ওই বিভাগেরই মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে ক্লাশে অশোভন আচরণ করায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আটক করে বিভাগের সভাপতির কক্ষে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগ তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে তার বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ৪র্থ বর্ষের ক্লাশ চলাকালীন ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার কথা বলে ক্লাশে প্রবেশ করেন আশিক উল্লাহ। কিন্তু তার কোনো ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাশের শেষের দিকে সে ওই শিক্ষককে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি ক্লাশ থেকে বের হতে গেলে আশিক উল্লাহ দরজা লাগিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্যত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্লাশ রুমে আটকে রেখে ওই শিক্ষিককে নিরাপদে উদ্ধার করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, আশিক উল্লাহকে প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা এবং অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
এ বিষয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, এর আগেও আশিক উল্লাহর নামে শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ আছে। সে ক্লাশরুমে মেয়েদের সঙ্গেও অশালীন মন্তব্য করে। আজ সে বিভাগের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সঙ্গেও বেয়াদবি করেছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাশ শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ অবরোধ করে। ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করে বলেও অভিযোগ করেন এই অধ্যাপক।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। সেই সঙ্গে সে যেন পরীক্ষা দিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করব আমরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেট কমিটিতে রিপোর্ট সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাবিতে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগে ছাত্রকে সাময়িক বহিস্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষককে হেনস্তার অভিযোগে আশিক উল্লাহ নামের ওই বিভাগেরই মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে ক্লাশে অশোভন আচরণ করায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আটক করে বিভাগের সভাপতির কক্ষে দুই ঘণ্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিভাগ তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে তার বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ৪র্থ বর্ষের ক্লাশ চলাকালীন ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার কথা বলে ক্লাশে প্রবেশ করেন আশিক উল্লাহ। কিন্তু তার কোনো ইমপ্রুভমেন্ট ছিল না। ক্লাশের শেষের দিকে সে ওই শিক্ষককে বিব্রত করার জন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি ক্লাশ থেকে বের হতে গেলে আশিক উল্লাহ দরজা লাগিয়ে তাকে মারার জন্য উদ্যত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ক্লাশ রুমে আটকে রেখে ওই শিক্ষিককে নিরাপদে উদ্ধার করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, আশিক উল্লাহকে প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা এবং অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
এ বিষয়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, এর আগেও আশিক উল্লাহর নামে শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ আছে। সে ক্লাশরুমে মেয়েদের সঙ্গেও অশালীন মন্তব্য করে। আজ সে বিভাগের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সঙ্গেও বেয়াদবি করেছে এবং তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, আমি চতুর্থ বর্ষের ক্লাশ শেষ করে বের হতে গেলেই সে আমার পথ অবরোধ করে। ডিপার্টমেন্টের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয় নিয়ে আমার কাছে সমাধান চাইলে আমি তাকে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। কিন্তু সে তা না শুনেই আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষকের সঙ্গে বেয়াদবি করে বলেও অভিযোগ করেন এই অধ্যাপক।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই কমিটির প্রতিবেদনের বাস্তবায়ন চাইব। সেই সঙ্গে সে যেন পরীক্ষা দিতে না পারে সে ব্যবস্থাও করব আমরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেট কমিটিতে রিপোর্ট সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।