কওমি শিক্ষাবোর্ডের মহাপরিচালক হলেন উবায়দুর রহমান খান নদভী
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ০৩:৩৩ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্ববৃহৎ শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।
রোববার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গাপ্রেসে বেফাকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাকে এ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
আগামী আরবি মাসের শুরু থেকে (রবিউস সানি) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন বলে বেফাক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠিত খাস কমিটির বৈঠকে খাস কমিটির বৈঠকে বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান, বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের, হাফেজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন আহমদ গহরপুরীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর বেফাকের মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন অধ্যাপক মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী। এরপর থেকে সহকারী মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সরকার স্বীকৃত আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধীনে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ছয়টি বোর্ড রয়েছে। সেগুলো হলো: বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙা, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশ, তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশ ও জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধীনে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তর সমমান করে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়।
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী দেশবরেণ্য আলেমে-দীন ও সংসদ সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান খানের বড় ছেলে। নদভী ১৯৮৩ সালে কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেছেন।
এরপর চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া থেকে আরবি সাহিত্যে তাখাসসুস করেছেন ১৯৮৪ সালে এবং স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ১৯৮৫-৮৬ সালে ভারতের নদওয়াতুল ওলামায়। এম.এ ডিগ্রী নিয়েছেন ১৯৯৪ সালে। এরই মাঝে আবার ১৯৮৫ সালে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি দাওয়াহ ও সংস্কৃতির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৯৯২ সালে রাষ্ট্র ও রাজনীতি বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন।
