গাঁজাসহ রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা আটক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গাঁজাসহ চার ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মাঠ থেকে ১২ প্যাকেট (৩২০ গ্রাম) গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান ও আরিফ বিন সিদ্দিক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ এবং ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে সোহানুর রহমান বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজু আহমেদ শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আরিফ বিন সিদ্দিক শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সাইফুল ইসলাম শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের প্রক্টর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসার পর চারজনের মধ্যে রাজু আহমেদ এবং সোহানুর রহমান টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। আর বাকি দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নগরীর মতিহার থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, দুপুরে ক্যাম্পাসে গাঁজাসহ চার শিক্ষার্থীকে প্রক্টরিয়াল বডি আটক করে। পরে তাদের প্রক্টর দফতরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে দুজন টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। তবে আমাদের কাছে চারজনের বিষয়েই বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। আমরা দুজনকে সরাসরি মতিহার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। আর চারজনের বিরুদ্ধেই মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তারা যদি রাবি ছাত্রলীগের কোনো পদে থেকে থাকে, আর এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গাঁজাসহ রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা আটক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গাঁজাসহ চার ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মাঠ থেকে ১২ প্যাকেট (৩২০ গ্রাম) গাঁজাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান ও আরিফ বিন সিদ্দিক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ এবং ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটককৃতদের মধ্যে সোহানুর রহমান বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজু আহমেদ শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আরিফ বিন সিদ্দিক শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সাইফুল ইসলাম শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের প্রক্টর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসার পর চারজনের মধ্যে রাজু আহমেদ এবং সোহানুর রহমান টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। আর বাকি দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নগরীর মতিহার থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করে প্রক্টরিয়াল বডি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, দুপুরে ক্যাম্পাসে গাঁজাসহ চার শিক্ষার্থীকে প্রক্টরিয়াল বডি আটক করে। পরে তাদের প্রক্টর দফতরে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে দুজন টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। তবে আমাদের কাছে চারজনের বিষয়েই বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। আমরা দুজনকে সরাসরি মতিহার থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। আর চারজনের বিরুদ্ধেই মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তারা যদি রাবি ছাত্রলীগের কোনো পদে থেকে থাকে, আর এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।