মাদক পরিবহণের সময় জাবির অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় রিকশাচালক নিহত
জাবি প্রতিনিধি
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:১২:১১ | অনলাইন সংস্করণ
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য মাদকদ্রব্য পরিবহণের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় আব্দুল কুদ্দুস (৩০) নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত হয়ে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া গুরুতর আঘাতে তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অটোরিকশাচালক পটুয়াখালীর কাউখালী উপজেলার কোনাহোড়া এলাকার আব্দুল মজিদ শিকদারের ছেলে। তিনি সাভারের কলমা এলাকায় ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় গত ২৭ জানুয়ারি। আর এ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আনা হয় ক্যাম্পাসে। এসব মাদকদ্রব্য বহনে ব্যবহার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স। মাদকদ্রব্য পরিবহণকালে ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বিপিএটিসি এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে আঘাত করে। এ ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুস। এছাড়া রিকশায় থাকা এক মহিলা গুরুতরভাবে আহত হয়। দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সটিতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রিফাত চৌধুরী ও উপ-অর্থ সম্পাদক আহসান হাবিব ইমন। তারা উভয়ে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
সরেজমিন দেখা যায়, দুর্ঘটনায় জাবির ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্সটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ অফিসে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চালক রিপন হাওলাদার।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানান, ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিপিএটিসি এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে চালক কুদ্দুস ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় আনে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পরেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এ বিষয়টি ধামা চাপা দিতে সব প্রচেষ্টা চালান। এছাড়া ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার ওসিকে চাপ প্রয়োগ করেন প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান। ঘটনার তদন্ত করতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সাভার হাইওয়ে থানার এসআই বাবুল। তখন তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
তবে হুমকি ধমকির অভিযোগ অস্বীকার করে সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশ প্রশাসনের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করেন। তার কাছে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি চলে যান। আমি দায়িত্বের জায়গা থেকে এটা করেছি।
এ ব্যাপারে দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা জাবি ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রিফাত চৌধুরী বলেন, সেদিন দুর্ঘটনার সময় আমিও গুরুতর আহত হই। আমার সাথে ৪৬ ব্যাচের ইমন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, পুনর্মিলনীর দিনকে কিভাবে গাড়ি নিয়েছে সেটা ঠিক জানি না। তবে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন রাষ্ট্রীয় আইনে যা হয় সেটাই হবে।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটেছে এটা ধামাচাপা দেওয়ার কিছু নেই। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে জাবির পরিবহণ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান বলেন, ভাসানী হলের পুনর্মিলনীর জন্য হলের প্রাক্তন বর্তমানরা মিলে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদকদ্রব্য আনছিল। তখন বিপিএটিসির সামনে অ্যাম্বুলেন্সটি একটা রিকশায় আঘাত করে। সেখানে একজন মারা গেছে- ঘটনাটি নিয়ে একটা পুলিশ কেস হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হক বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগরের অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে রিকশার দুর্ঘটনা হয়। তখন সেখানেই কুদ্দুস নামে একজন মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের হাতে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। আমরা দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত অ্যাম্বুলেন্সটি শনাক্ত করতে পেরেছি। অ্যাম্বুলেন্সটি এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মাদক পরিবহণের সময় জাবির অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় রিকশাচালক নিহত
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য মাদকদ্রব্য পরিবহণের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় আব্দুল কুদ্দুস (৩০) নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত হয়ে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া গুরুতর আঘাতে তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অটোরিকশাচালক পটুয়াখালীর কাউখালী উপজেলার কোনাহোড়া এলাকার আব্দুল মজিদ শিকদারের ছেলে। তিনি সাভারের কলমা এলাকায় ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় গত ২৭ জানুয়ারি। আর এ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আনা হয় ক্যাম্পাসে। এসব মাদকদ্রব্য বহনে ব্যবহার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স। মাদকদ্রব্য পরিবহণকালে ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বিপিএটিসি এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি একটি অটোরিকশাকে পেছন থেকে আঘাত করে। এ ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান রিকশাচালক আব্দুল কুদ্দুস। এছাড়া রিকশায় থাকা এক মহিলা গুরুতরভাবে আহত হয়। দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সটিতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রিফাত চৌধুরী ও উপ-অর্থ সম্পাদক আহসান হাবিব ইমন। তারা উভয়ে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
সরেজমিন দেখা যায়, দুর্ঘটনায় জাবির ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্সটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ অফিসে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চালক রিপন হাওলাদার।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানান, ২৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিপিএটিসি এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স অটোরিকশাটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে চালক কুদ্দুস ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় আনে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পরেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এ বিষয়টি ধামা চাপা দিতে সব প্রচেষ্টা চালান। এছাড়া ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার হাইওয়ে থানার ওসিকে চাপ প্রয়োগ করেন প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান। ঘটনার তদন্ত করতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন সাভার হাইওয়ে থানার এসআই বাবুল। তখন তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
তবে হুমকি ধমকির অভিযোগ অস্বীকার করে সুদীপ্ত শাহীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পুলিশ প্রশাসনের কেউ প্রবেশ করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করেন। তার কাছে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি চলে যান। আমি দায়িত্বের জায়গা থেকে এটা করেছি।
এ ব্যাপারে দুর্ঘটনার সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা জাবি ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রিফাত চৌধুরী বলেন, সেদিন দুর্ঘটনার সময় আমিও গুরুতর আহত হই। আমার সাথে ৪৬ ব্যাচের ইমন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, পুনর্মিলনীর দিনকে কিভাবে গাড়ি নিয়েছে সেটা ঠিক জানি না। তবে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন রাষ্ট্রীয় আইনে যা হয় সেটাই হবে।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটেছে এটা ধামাচাপা দেওয়ার কিছু নেই। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে জাবির পরিবহণ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ছায়েদুর রহমান বলেন, ভাসানী হলের পুনর্মিলনীর জন্য হলের প্রাক্তন বর্তমানরা মিলে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদকদ্রব্য আনছিল। তখন বিপিএটিসির সামনে অ্যাম্বুলেন্সটি একটা রিকশায় আঘাত করে। সেখানে একজন মারা গেছে- ঘটনাটি নিয়ে একটা পুলিশ কেস হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আজিজুল হক বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগরের অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে রিকশার দুর্ঘটনা হয়। তখন সেখানেই কুদ্দুস নামে একজন মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের হাতে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। আমরা দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত অ্যাম্বুলেন্সটি শনাক্ত করতে পেরেছি। অ্যাম্বুলেন্সটি এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলছি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।