সেই জাবি শিক্ষকের বিচার দাবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও
jugantor
সেই জাবি শিক্ষকের বিচার দাবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও

  জাবি প্রতিনিধি  

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩০:০৭  |  অনলাইন সংস্করণ

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির যথাযথ বিচার ও অপসারণ দাবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

নিজ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও জোর করে দায়মুক্তিপত্র আদায়ের অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির যথাযথ বিচার ও অপসারণ দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা চলাকালে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, শিক্ষক জনি তার অপরাধ থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোর করে একটি দায়মুক্তিপত্র লিখিয়ে নিয়েছিলেন। পরে ভুক্তভোগী তা স্বীকার করেন এবং বলেন প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের উপস্থিতিতে তা করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর জড়িত থাকলে অবশ্যই তাদের বিচার করতে হবে। আমাদের না জানিয়ে অসময়ে যে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করা হয়েছে, তাতে জনির ঘটনার তদন্তের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত না করে ধামাচাপার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

এছাড়াও সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী ও ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেট সভা কক্ষের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন ও জনির বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কাগজে লিখে দিতে বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা দাবিগুলো লিখে দিলে চলমান সিন্ডিকেট সভায় তা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পৌঁছানো হয়।

দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগে স্ট্রাকচারড কমিটি গঠন করতে হবে এবং তদন্ত কমিটি অবশই নিরপেক্ষ হতে হবে, দায়মুক্তির ঘটনায় সংবাদপত্রের তথ্যের ভিত্তিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করতে হবে এবং শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি এক মাসের চালু করতে হবে।

সেই জাবি শিক্ষকের বিচার দাবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও

 জাবি প্রতিনিধি 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩০ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির যথাযথ বিচার ও অপসারণ দাবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

নিজ বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও জোর করে দায়মুক্তিপত্র আদায়ের অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির যথাযথ বিচার ও অপসারণ দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা চলাকালে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, শিক্ষক জনি তার অপরাধ থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোর করে একটি দায়মুক্তিপত্র লিখিয়ে নিয়েছিলেন। পরে ভুক্তভোগী তা স্বীকার করেন এবং বলেন প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের উপস্থিতিতে তা করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর জড়িত থাকলে অবশ্যই তাদের বিচার করতে হবে। আমাদের না জানিয়ে অসময়ে যে সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করা হয়েছে, তাতে জনির ঘটনার তদন্তের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত না করে ধামাচাপার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

এছাড়াও সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী ও ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি আবু সাঈদ বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেট সভা কক্ষের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন ও জনির বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো কাগজে লিখে দিতে বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা দাবিগুলো লিখে দিলে চলমান সিন্ডিকেট সভায় তা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে পৌঁছানো হয়।

দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগে স্ট্রাকচারড কমিটি গঠন করতে হবে এবং তদন্ত কমিটি অবশই নিরপেক্ষ হতে হবে, দায়মুক্তির ঘটনায় সংবাদপত্রের তথ্যের ভিত্তিতে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করতে হবে এবং শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি এক মাসের চালু করতে হবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন