গুচ্ছে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না ইবি: নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত
jugantor
গুচ্ছে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না ইবি: নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

  ইবি প্রতিনিধি  

১৯ মার্চ ২০২৩, ২০:২৫:০১  |  অনলাইন সংস্করণ

বিগত দুই বছর গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আসন সংখ্যা পূর্ণ করতে পারেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। গত বছর ও চলতি বছরে গণবিজ্ঞপ্তিসহ ১২টি বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আসন পূরণ হয়নি। ফলে গত ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যথাক্রমে শতাধিক ও অর্ধশত আসন শূন্য রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

ভর্তিতে শিক্ষার্থী না পাওয়া, নানা বৈষম্য, বিড়ম্বনা, সমন্বয়হীনতা, ভর্তিতে দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানা অভিযোগ এনে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার বেলা ১১টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১২৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একই সঙ্গে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা সম্পন্ন ও গৃহীত সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।

সোমবার ইউজিসির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।

প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সরকারের উচ্চ মহলের চাপে বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকে।

এর আগে গত বছর গুচ্ছে শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি। তবে সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে ফের গুচ্ছে অংশ নেয় ইবি। শিক্ষক সমিতির দাবি গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ শর্ত পূরণ করতে পারেনি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি বৈষম্য ও শিক্ষার্থী ভোগান্তি কমিয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে পারলে গুচ্ছে অংশ নেবে শিক্ষক সমিতি।

এর আগে সকাল ৯টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে ‘গুচ্ছ হটাও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ ফেস্টুন লিখে মানববন্ধনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। তারা গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

একাডেমিক সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছে থাকা না থাকার প্রশ্নে একটি আলোচ্য সূচিতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও সব প্রফেসর উপস্থিত ছিলেন। সভায় গুচ্ছের নানা অসঙ্গতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না পাওয়ার বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে উপস্থিত সব শিক্ষকদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোয়াদ্দার যুগান্তকে বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মার্চের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, জুনের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন, পহেলা জুলাই নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করা, ভর্তি কার্যক্রমে ন্যূনতম ফি নির্ধারণ এবং ভর্তি পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ভর্তি ছাড়া যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করাসহ বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ভালো সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রমের প্লাটফর্ম হলে ইবি ওয়েলকাম করবে। প্রয়োজনে আমরা আবার অংশগ্রহণ করব।

এর আগে শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী ও সাধারণ সভায় স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে ভিসিকে জানানো হয়। পরে তিনি প্রগতিশীল, বিএনপিপন্থি এবং জামায়াতপন্থি সব শিক্ষক ফোরামের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেন। তারাও গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন।

গুচ্ছে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না ইবি: নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

 ইবি প্রতিনিধি 
১৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

বিগত দুই বছর গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে আসন সংখ্যা পূর্ণ করতে পারেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। গত বছর ও চলতি বছরে গণবিজ্ঞপ্তিসহ ১২টি বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আসন পূরণ হয়নি। ফলে গত ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যথাক্রমে শতাধিক ও অর্ধশত আসন শূন্য রেখেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে বাধ্য হয় প্রশাসন।

ভর্তিতে শিক্ষার্থী না পাওয়া, নানা বৈষম্য, বিড়ম্বনা, সমন্বয়হীনতা, ভর্তিতে দীর্ঘসূত্রিতাসহ নানা অভিযোগ এনে গুচ্ছ প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

রোববার বেলা ১১টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১২৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একই সঙ্গে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা সম্পন্ন ও গৃহীত সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।

সোমবার ইউজিসির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।

প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে সরকারের উচ্চ মহলের চাপে বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকে।

এর আগে গত বছর গুচ্ছে শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি। তবে সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে ফের গুচ্ছে অংশ নেয় ইবি। শিক্ষক সমিতির দাবি গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ শর্ত পূরণ করতে পারেনি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি বৈষম্য ও শিক্ষার্থী ভোগান্তি কমিয়ে অধিকতর গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে পারলে গুচ্ছে অংশ নেবে শিক্ষক সমিতি। 

এর আগে সকাল ৯টায় মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে ‘গুচ্ছ হটাও বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ ফেস্টুন লিখে মানববন্ধনে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। তারা গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

একাডেমিক সভা সূত্রে জানা যায়, গুচ্ছে থাকা না থাকার প্রশ্নে একটি আলোচ্য সূচিতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও সব প্রফেসর উপস্থিত ছিলেন। সভায় গুচ্ছের নানা অসঙ্গতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না পাওয়ার বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে উপস্থিত সব শিক্ষকদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোয়াদ্দার যুগান্তকে বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মার্চের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, জুনের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন, পহেলা জুলাই নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করা, ভর্তি কার্যক্রমে ন্যূনতম ফি নির্ধারণ এবং ভর্তি পরীক্ষার পর চূড়ান্ত ভর্তি ছাড়া যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করাসহ বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ভালো সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রমের প্লাটফর্ম হলে ইবি ওয়েলকাম করবে। প্রয়োজনে আমরা আবার অংশগ্রহণ করব।

এর আগে শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী ও সাধারণ সভায় স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে ভিসিকে জানানো হয়। পরে তিনি প্রগতিশীল, বিএনপিপন্থি এবং জামায়াতপন্থি সব শিক্ষক ফোরামের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেন। তারাও গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন