ডিসিকে ‘স্যার’ না বলায় বেরোবি শিক্ষকের সঙ্গে অশোভন আচরণ
jugantor
ডিসিকে ‘স্যার’ না বলায় বেরোবি শিক্ষকের সঙ্গে অশোভন আচরণ

  রংপুর ব্যুরো  

২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৪:৫৪  |  অনলাইন সংস্করণ

রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড লিখে বসে পড়েন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। সঙ্গে তার কন্যাশিশু অক্ষর রয়েছে।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীসহ ওই শিক্ষকের শিশু কন্যা অবস্থান শুরু করেন।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর ফারুক রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ১৯৭১ সালের ৩ রা মার্চ প্রথম শহীন শংকু সমজদার নামে একটি প্রতিষ্ঠিত স্কুল নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলতে যান।

এসময় জেলা প্রশাসককে স্যার সম্বোধন না করায় ওই শিক্ষকের প্রতি জেলা প্রশাসক অশোভন আচরণ করেন। এর পর তিনি ওই শিক্ষককে বলেন, জেলা প্রশাসকের চেয়ারকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলতে হবে। জবাব ওই শিক্ষক তাকে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে সরকারি চাকুরিজীবীরা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। তাই স্যার সম্বোধন বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।

এর পর বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক জেলা প্রশাসককের কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে প্রধান ফটকের বারান্দায় এই ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ।

এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, শিক্ষার্থীসহ অন্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান কর্মসূচী অংশ গ্রহণ করেন।

ডিসিকে ‘স্যার’ না বলায় বেরোবি শিক্ষকের সঙ্গে অশোভন আচরণ

 রংপুর ব্যুরো 
২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৪ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. চিত্রলেখা নাজনীনকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড লিখে বসে পড়েন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। সঙ্গে তার কন্যাশিশু অক্ষর রয়েছে।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীসহ ওই শিক্ষকের শিশু কন্যা অবস্থান শুরু করেন।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর ফারুক রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ১৯৭১ সালের ৩ রা মার্চ প্রথম শহীন শংকু সমজদার নামে একটি প্রতিষ্ঠিত স্কুল নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলতে যান।

এসময় জেলা প্রশাসককে স্যার সম্বোধন না করায় ওই শিক্ষকের প্রতি জেলা প্রশাসক অশোভন আচরণ করেন। এর পর তিনি ওই শিক্ষককে বলেন, জেলা প্রশাসকের চেয়ারকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলতে হবে। জবাব ওই শিক্ষক তাকে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে সরকারি চাকুরিজীবীরা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। তাই স্যার সম্বোধন বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়।

এর পর বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক জেলা প্রশাসককের কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে প্রধান ফটকের বারান্দায় এই ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন।

বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ।

এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, শিক্ষার্থীসহ অন্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে অবস্থান কর্মসূচী অংশ গ্রহণ করেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন