জাবিতে অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
জাবি প্রতিনিধি
২৩ মার্চ ২০২৩, ২২:১১:০৮ | অনলাইন সংস্করণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তুচ্ছ ঘটনায় মারামারিকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্বরে মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের মীর মশাররফ হোসেন হলের নেতাকর্মীরা। এ সময় সংবাদ সংগ্রহকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশফার রহমান নবীন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জানা যায়, রেস্টুরেন্টে বসাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মারধরের ঘটনায় মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের কিছু শিক্ষার্থী মারধর করে। এই মারধরের প্রতিশোধ নিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশে একদল শিক্ষার্থী রামদা, লোহার পাইপ, কাচের বোতলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হল থেকে মহড়া দিয়ে বটতলার ভাসানী চত্বরে আসে।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন পদধারী নেতার উপস্থিতিতে সংবাদ সংগ্রহকালে বাংলাদেশ টুডের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ ও ডিবিসি নিউজের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর চড়াও হয়ে মারধরের চেষ্টা করে হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। বিক্ষিপ্তভাবে হামলা করে জুবায়ের আহমেদের গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়। বটতলায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র আহমেদ গালিবকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের একদল শিক্ষার্থী মারধর করেন। এর জের ধরেই তারা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের দিকে যাচ্ছিলেন।
এদিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়ার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পূর্ব থেকেই অবস্থান নেয় প্রক্টরিয়াল টিম। শিক্ষার্থীরা বটতলার ভাসানী চত্বরে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রক্টরিয়াল টিম তাদের বাধা প্রদান করে। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বাগবিতণ্ডা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থী ও প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় স্লোগান ও গালাগাল দিতে থাকে। পরে সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে হলের নেতাদের নির্দেশে বটতলা এলাকা ত্যাগ করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। এ সময় বটতলার রাস্তাজুড়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে আসা কাচের বোতল ভাঙচুর করতে করতে তারা হলে ফিরে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, আমরা সাংবাদিককে হামলার ঘটনার সম্পর্কে জানতাম না। জানলে আসতামও না। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। তাই ঘটনাস্থলে আসতে দেরি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র থাকলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তো একরকম শঙ্কা তৈরি হয়। আমরা এসবের বিরুদ্ধে রয়েছি। এক্ষেত্রে হল থেকে এসব নির্মূলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করব।
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক জুবায়ের আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, আমি সংবাদকর্মী হিসেবে পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করছিলাম। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট, নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী আমার ওপর ও আমার সহকর্মী ডিবিসি নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর লোহার পাইপ, রামদা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আজকের ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। আমরা এ ধরনের ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিই। এক্ষেত্রেও সেটিই করা হবে। এর বাইরে কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। শিক্ষার্থীরা কী করেছে তোমরাও দেখেছ। তোমরা নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাও।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জাবিতে অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও সংবাদ সংগ্রহকালে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তুচ্ছ ঘটনায় মারামারিকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্বরে মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের মীর মশাররফ হোসেন হলের নেতাকর্মীরা। এ সময় সংবাদ সংগ্রহকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশফার রহমান নবীন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায়, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জানা যায়, রেস্টুরেন্টে বসাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মারধরের ঘটনায় মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থীকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের কিছু শিক্ষার্থী মারধর করে। এই মারধরের প্রতিশোধ নিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশে একদল শিক্ষার্থী রামদা, লোহার পাইপ, কাচের বোতলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হল থেকে মহড়া দিয়ে বটতলার ভাসানী চত্বরে আসে।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন পদধারী নেতার উপস্থিতিতে সংবাদ সংগ্রহকালে বাংলাদেশ টুডের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ ও ডিবিসি নিউজের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর চড়াও হয়ে মারধরের চেষ্টা করে হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। বিক্ষিপ্তভাবে হামলা করে জুবায়ের আহমেদের গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়। বটতলায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় বটতলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র আহমেদ গালিবকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের একদল শিক্ষার্থী মারধর করেন। এর জের ধরেই তারা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের দিকে যাচ্ছিলেন।
এদিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়ার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পূর্ব থেকেই অবস্থান নেয় প্রক্টরিয়াল টিম। শিক্ষার্থীরা বটতলার ভাসানী চত্বরে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রক্টরিয়াল টিম তাদের বাধা প্রদান করে। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বাগবিতণ্ডা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থী ও প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় স্লোগান ও গালাগাল দিতে থাকে। পরে সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনায় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে হলের নেতাদের নির্দেশে বটতলা এলাকা ত্যাগ করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। এ সময় বটতলার রাস্তাজুড়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে আসা কাচের বোতল ভাঙচুর করতে করতে তারা হলে ফিরে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, আমরা সাংবাদিককে হামলার ঘটনার সম্পর্কে জানতাম না। জানলে আসতামও না। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। তাই ঘটনাস্থলে আসতে দেরি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র থাকলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তো একরকম শঙ্কা তৈরি হয়। আমরা এসবের বিরুদ্ধে রয়েছি। এক্ষেত্রে হল থেকে এসব নির্মূলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা করব।
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক জুবায়ের আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, আমি সংবাদকর্মী হিসেবে পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করছিলাম। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট, নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী আমার ওপর ও আমার সহকর্মী ডিবিসি নিউজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর লোহার পাইপ, রামদা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আজকের ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। আমরা এ ধরনের ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিই। এক্ষেত্রেও সেটিই করা হবে। এর বাইরে কোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। শিক্ষার্থীরা কী করেছে তোমরাও দেখেছ। তোমরা নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাও।