বোনের সঙ্গে প্রেম করায় কলেজছাত্রকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
টঙ্গী পশ্চিম (গাজীপুর) প্রতিনিধি
২৪ মার্চ ২০২৩, ০১:২৬:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরের টঙ্গীতে রাকিব হোসেন (১৭) নামে এক ছাত্রকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে বেদম মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রাকিব হোসেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভেতরে।
ভুক্তভোগী রাকিব জানান, টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হানের ছোট বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই জের ধরে কিছুদিন যাবত মিরাজের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে গত বুধবার বিকেলে মিরাজ তাকে শান্তর মাধ্যমে মোবাইলে ডেকে নেন। তিনি টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে মিরাজের নেতৃত্বে রবিউল, নিশান, শান্ত, নাঈম, মাজহারুল, সিয়ামসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী তাকে জোরপূর্বক টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভেতর নিয়ে আটকে রাখে।
একপর্যায়ে ছাত্র সংসদের কক্ষ বাহির থেকে তালা বন্ধ করে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ছাত্র সংসদের ভেতর থেকে বের করে দিয়ে মিরাজ ও তার বাহিনীর সদস্যরা সটকে পড়েন। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত রাকিবকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হান বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কাউকে তুলে নেইনি এবং মারধরও করিনি।
এ বিষয়ে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান বলেন, টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ইচ্ছা করলেই কেউ টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। ঘটনাটি আমরা শুনেছি। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিষয়টি তদন্ত শুরু করছে। তদন্তে মিরাজুর রহমান রায়হান যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বোনের সঙ্গে প্রেম করায় কলেজছাত্রকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
গাজীপুরের টঙ্গীতে রাকিব হোসেন (১৭) নামে এক ছাত্রকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে বেদম মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রাকিব হোসেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভেতরে।
ভুক্তভোগী রাকিব জানান, টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হানের ছোট বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই জের ধরে কিছুদিন যাবত মিরাজের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে গত বুধবার বিকেলে মিরাজ তাকে শান্তর মাধ্যমে মোবাইলে ডেকে নেন। তিনি টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমী এন্ড কলেজের সামনে পৌঁছলে মিরাজের নেতৃত্বে রবিউল, নিশান, শান্ত, নাঈম, মাজহারুল, সিয়ামসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী তাকে জোরপূর্বক টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভেতর নিয়ে আটকে রাখে।
একপর্যায়ে ছাত্র সংসদের কক্ষ বাহির থেকে তালা বন্ধ করে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ছাত্র সংসদের ভেতর থেকে বের করে দিয়ে মিরাজ ও তার বাহিনীর সদস্যরা সটকে পড়েন। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত রাকিবকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিরাজুর রহমান রায়হান বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কাউকে তুলে নেইনি এবং মারধরও করিনি।
এ বিষয়ে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান বলেন, টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ইচ্ছা করলেই কেউ টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। ঘটনাটি আমরা শুনেছি। টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিষয়টি তদন্ত শুরু করছে। তদন্তে মিরাজুর রহমান রায়হান যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।