জাবিতে সামিউলের অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার
মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল থেকে অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে ১০০ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। রোববার বিকালে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অনশনরত সামিউলকে দেখতে যান তারা।
এ সময় কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, তার দাবিটি যৌক্তিক এবং তার দাবিকে আমি সমর্থন করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট সংকট থাকার কারণে যে গণরুম ব্যবস্থা এবং সাবেক ছাত্রদের যে হলে অবস্থান এটার একটা সমন্বয় না করা পর্যন্ত আজকে সে অনশন করছে, কালকে আরও অনেকেই অনশন করবে।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম বলেন, প্রত্যয়ের যে তিনটি দাবি এ দাবি আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি। এই এমএইচ হল থেকে আমার শিক্ষকতা জীবনের শুরু। তখন এ ধরনের গণরুম, র্যাগিং কালচার এগুলো কোনোকিছুই ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুততর সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আমি প্রত্যয়ের দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছি। কারণ আজকে প্রত্যয় যে জায়গায় এসেছে, তার জীবনকে বাজি রেখেছে, তার আগে সে অনেক ধাপ পার হয়ে এসেছে। হলে যে নির্যাতন হয় তার বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে। প্রশাসন তাও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারি ছাত্র সংগঠনের লাঠিয়াল তৈরি করার জন্য এ গণরুম টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। এজন্য তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছি প্রশাসনের প্রতি। আমি মনে করি যে, এ দাবিগুলো যৌক্তিক এবং প্রত্যয়ের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ওর এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি।
উল্লেখ্য, গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ ও বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করার দাবিতে গত বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সামিউল ইসলাম প্রত্যয় নামে ওই শিক্ষার্থী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামিউল ইসলামের অনশনের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পার হয়েছে। এর আগেও একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং দাবি আদায়ে প্রভোস্ট, প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর কয়েক দফায় লিখিত আবেদন করে আসছিলেন বলেও জানান প্রত্যয়।
জাবিতে সামিউলের অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার
জাবি প্রতিনিধি
০৪ জুন ২০২৩, ২২:৫৩:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ
মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে হল থেকে অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে ১০০ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। রোববার বিকালে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অনশনরত সামিউলকে দেখতে যান তারা।
এ সময় কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক বলেন, তার দাবিটি যৌক্তিক এবং তার দাবিকে আমি সমর্থন করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট সংকট থাকার কারণে যে গণরুম ব্যবস্থা এবং সাবেক ছাত্রদের যে হলে অবস্থান এটার একটা সমন্বয় না করা পর্যন্ত আজকে সে অনশন করছে, কালকে আরও অনেকেই অনশন করবে।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম বলেন, প্রত্যয়ের যে তিনটি দাবি এ দাবি আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি। এই এমএইচ হল থেকে আমার শিক্ষকতা জীবনের শুরু। তখন এ ধরনের গণরুম, র্যাগিং কালচার এগুলো কোনোকিছুই ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুততর সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আমি প্রত্যয়ের দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছি। কারণ আজকে প্রত্যয় যে জায়গায় এসেছে, তার জীবনকে বাজি রেখেছে, তার আগে সে অনেক ধাপ পার হয়ে এসেছে। হলে যে নির্যাতন হয় তার বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে। প্রশাসন তাও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারি ছাত্র সংগঠনের লাঠিয়াল তৈরি করার জন্য এ গণরুম টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। এজন্য তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছি প্রশাসনের প্রতি। আমি মনে করি যে, এ দাবিগুলো যৌক্তিক এবং প্রত্যয়ের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ওর এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি।
উল্লেখ্য, গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ ও বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করার দাবিতে গত বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সামিউল ইসলাম প্রত্যয় নামে ওই শিক্ষার্থী। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামিউল ইসলামের অনশনের প্রায় ১০০ ঘণ্টা পার হয়েছে। এর আগেও একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং দাবি আদায়ে প্রভোস্ট, প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর কয়েক দফায় লিখিত আবেদন করে আসছিলেন বলেও জানান প্রত্যয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023