পঞ্চম দিনেও অনশন অব্যাহত জাবি শিক্ষার্থীর
তিন দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয় অনশনের পঞ্চম দিন পার করেছেন। দাবি আদায় না হলে অনশন ভাঙবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে শনিবার রাতে দাবি পূরণের আশ্বাসে স্যালাইন নিতে রাজি হলেও আশ্বাসের ভিত্তিতে কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় এখন স্যালাইন নেওয়া বন্ধ রেখেছেন। অনশনের ১২০ ঘণ্টা পার হওয়ায় ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন শিক্ষক তাকে দেখতে গিয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা প্রত্যয়কে কাজ শুরুর কথা জানিয়ে তাকে অনশন ভাঙাতে চেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রত্যয়ের চাহিদা অনুযায়ী অছাত্রদের তালিকা দেখাতে পারেননি। ফলে প্রত্যয় স্যালাইন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রত্যয়ের দাবি, প্রশাসন শনিবার রাতে কাজ শুরুর আশ্বাসের ভিত্তিতে স্যালাইন গ্রহণ শুরু করি, কিন্তু অছাত্রদের তালিকা প্রশাসন আমাকে দেখাতে পারেনি। ফলে আমি স্যালাইন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছি। আমার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, আমরা রোববার রাতে প্রত্যেক রুমে গিয়ে অছাত্রদের হল ছাড়ার নোটিশ দিয়েছি। তবে হাউজ টিউটর মাত্র চারজন থাকায় এই প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে। সোমবার সকালে তার সঙ্গে দেখা করে কাজের কথা জানিয়েছি। কিন্তু তিনি আমার কাছে ডকুমেন্টস দাবি করছে। সেক্ষেত্রে তাকে বুঝানো দায় হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ ও বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করার দাবিতে গত ৩১ মে সন্ধ্যা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সামিউল ইসলাম প্রত্যয় নামে উক্ত শিক্ষার্থী। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামিউল ইসলামের অনশনের প্রায় ১২০ ঘণ্টা পার হয়েছে। এর আগেও একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং দাবি আদায়ে প্রভোস্ট, প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর কয়েক দফায় লিখিত আবেদন করে আসছিলেন বলেও জানান প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার নানা আশ্বাস দিলেও দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পঞ্চম দিনেও অনশন অব্যাহত জাবি শিক্ষার্থীর
জাবি প্রতিনিধি
০৫ জুন ২০২৩, ২৩:১৭:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
তিন দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয় অনশনের পঞ্চম দিন পার করেছেন। দাবি আদায় না হলে অনশন ভাঙবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে শনিবার রাতে দাবি পূরণের আশ্বাসে স্যালাইন নিতে রাজি হলেও আশ্বাসের ভিত্তিতে কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় এখন স্যালাইন নেওয়া বন্ধ রেখেছেন। অনশনের ১২০ ঘণ্টা পার হওয়ায় ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
রোববার সন্ধ্যায় কয়েকজন শিক্ষক তাকে দেখতে গিয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা প্রত্যয়কে কাজ শুরুর কথা জানিয়ে তাকে অনশন ভাঙাতে চেয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রত্যয়ের চাহিদা অনুযায়ী অছাত্রদের তালিকা দেখাতে পারেননি। ফলে প্রত্যয় স্যালাইন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রত্যয়ের দাবি, প্রশাসন শনিবার রাতে কাজ শুরুর আশ্বাসের ভিত্তিতে স্যালাইন গ্রহণ শুরু করি, কিন্তু অছাত্রদের তালিকা প্রশাসন আমাকে দেখাতে পারেনি। ফলে আমি স্যালাইন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছি। আমার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, আমরা রোববার রাতে প্রত্যেক রুমে গিয়ে অছাত্রদের হল ছাড়ার নোটিশ দিয়েছি। তবে হাউজ টিউটর মাত্র চারজন থাকায় এই প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে। সোমবার সকালে তার সঙ্গে দেখা করে কাজের কথা জানিয়েছি। কিন্তু তিনি আমার কাছে ডকুমেন্টস দাবি করছে। সেক্ষেত্রে তাকে বুঝানো দায় হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ ও বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করার দাবিতে গত ৩১ মে সন্ধ্যা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন সামিউল ইসলাম প্রত্যয় নামে উক্ত শিক্ষার্থী। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সামিউল ইসলামের অনশনের প্রায় ১২০ ঘণ্টা পার হয়েছে। এর আগেও একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং দাবি আদায়ে প্রভোস্ট, প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর কয়েক দফায় লিখিত আবেদন করে আসছিলেন বলেও জানান প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার নানা আশ্বাস দিলেও দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023