২০০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জাবি শিক্ষার্থী প্রত্যয়
প্রায় ২০০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলমের উপস্থিতিতে পানি পানের মাধ্যমে অনশন ভাঙেন প্রত্যয়।
এর আগে সকালে হল প্রাধ্যক্ষকে ছয়টি লিখিত শর্ত দেন প্রত্যয়।
শর্তগুলো হলো- হলে অবস্থানরত সব শিক্ষার্থী ও আসন সংখ্যার তালিকা তৈরি, ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁকা কক্ষগুলো প্রশাসনিকভাবে সিলগালা করা, যেসব আসনে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে তাদের আসনে বৈধ শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া ও তার তালিকা প্রকাশ, মেয়াদোত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা, সব বিষয়ে হল প্রশাসন সাংবাদিকদের তথ্যের আপডেট দিয়ে সহযোগিতা করা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবেন।
শর্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে- এই মর্মে হল প্রাধ্যক্ষ শর্তে স্বাক্ষর করলে প্রত্যয়ও সেখানে স্বাক্ষর করে অনশন ভাঙেন।
অনশন ভাঙার পর প্রত্যয় বলেন, প্রশাসন এতদিন ধরে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখাতে পারেনি। প্রভোস্ট স্যার খসড়া তালিকা দেখিয়েছেন। আমার তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা মেনে নিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি অনশন ভেঙেছি। যদি কথা না রাখেন আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার সময় আমার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পানি পান করে প্রত্যয় অনশন ভাঙে। আমরা দুজনই কয়েকটি শর্তে একটি চুক্তি করেছি। তার দাবিগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে থেকে তিন দফা দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের মাঠে অনশনে বসেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। প্রত্যয়ের দাবিগুলো ছিল- গণরুমের বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের হল ত্যাগে বাধ্য করা এবং গণরুমে অবস্থানরত সব বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত করা।
২০০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জাবি শিক্ষার্থী প্রত্যয়
জাবি প্রতিনিধি
০৮ জুন ২০২৩, ১৯:১৫:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
প্রায় ২০০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলমের উপস্থিতিতে পানি পানের মাধ্যমে অনশন ভাঙেন প্রত্যয়।
এর আগে সকালে হল প্রাধ্যক্ষকে ছয়টি লিখিত শর্ত দেন প্রত্যয়।
শর্তগুলো হলো- হলে অবস্থানরত সব শিক্ষার্থী ও আসন সংখ্যার তালিকা তৈরি, ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁকা কক্ষগুলো প্রশাসনিকভাবে সিলগালা করা, যেসব আসনে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে তাদের আসনে বৈধ শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া ও তার তালিকা প্রকাশ, মেয়াদোত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে বাধ্য করা, সব বিষয়ে হল প্রশাসন সাংবাদিকদের তথ্যের আপডেট দিয়ে সহযোগিতা করা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করলে প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবেন।
শর্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে- এই মর্মে হল প্রাধ্যক্ষ শর্তে স্বাক্ষর করলে প্রত্যয়ও সেখানে স্বাক্ষর করে অনশন ভাঙেন।
অনশন ভাঙার পর প্রত্যয় বলেন, প্রশাসন এতদিন ধরে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখাতে পারেনি। প্রভোস্ট স্যার খসড়া তালিকা দেখিয়েছেন। আমার তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা মেনে নিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি অনশন ভেঙেছি। যদি কথা না রাখেন আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার সময় আমার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পানি পান করে প্রত্যয় অনশন ভাঙে। আমরা দুজনই কয়েকটি শর্তে একটি চুক্তি করেছি। তার দাবিগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে থেকে তিন দফা দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের মাঠে অনশনে বসেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। প্রত্যয়ের দাবিগুলো ছিল- গণরুমের বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের হল ত্যাগে বাধ্য করা এবং গণরুমে অবস্থানরত সব বৈধ শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত করা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023