Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

বৈশাখী শোভাযাত্রায় না যাওয়ায় ছাত্রীদের খাবার বন্ধ করলেন প্রভোস্ট

Icon

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

বৈশাখী শোভাযাত্রায় না যাওয়ায় ছাত্রীদের খাবার বন্ধ করলেন প্রভোস্ট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়ায় খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রীদের দুপুরের খাবার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা। 

জানা যায়, বুধবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে দুপুরে বিশেষ পান্তাভাতের আয়োজন করা হয়। এদিকে বেলা ১১টায় নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় ওই হল থেকে মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক দুপুরের পান্তাভাতের আয়োজনটি বন্ধ করে দেন হলের প্রভোস্ট ড. জালাল। তবে হলটির ডাইনিংয়ে দুপুরে স্বাভাবিক খাবারের আয়োজনও করা হয়নি। ফলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

এ ঘটনার পর ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রভোস্ট কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ডাইনিংয়ে খাবার রান্না হওয়ার মাঝপর্যায়ে প্রভোস্ট স্যার রান্না বন্ধ করে দেন। তাছাড়া শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলকও করেননি। ফলে যার যার ক্লাশ-পরীক্ষা থাকায় সবাই ক্যাম্পাসে চলে যান। দুপুরের পর সবাই এসে জানতে পারে হলে খাবারের আয়োজন করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার।

এ বিষয়ে হলের ডাইনিংয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বেলা ১১টার দিকে প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস কক্ষে ডাকেন এবং রান্না বন্ধ রাখতে বলেন। আমরা মঙ্গলবার রাত ২টার পর থেকে এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভাত রান্না করেছি। সবকিছু প্রায় কমপ্লিট হওয়ার আগমুহূর্তে ছিল, শুধুমাত্র মাছ ভাজা বাকি ছিল। এমন সময়ে তিনি রান্না বন্ধ রাখতে বলেন। সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য রান্না করা সেই পান্তা ভাত কেউ না খাওয়ায় তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন বলেন, আমার হলে প্রায় ৪০০ ছাত্রী থাকলেও সকালে মাত্র ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ শোভাযাত্রায় আসেনি। আমাদের ব্যান্ড পার্টিও ছিল। কিন্তু এই কয়েকজন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় প্ল্যান ক্যানসেল করি। তৎক্ষণাৎ হতাশ হয়ে আমি দুপুরের খাবারটা বন্ধ করার চিন্তা করেছি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিযোগ এবং পদত্যাগের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম