ঢাবিতে রড দিয়ে শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
jugantor
ঢাবিতে রড দিয়ে শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

  ঢাবি প্রতিনিধি  

০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৩৭:২৫  |  অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে আটটার দিকে হলের ১১০০১ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মোনাফ প্রান্ত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রাসেল মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হল ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর এদিন এলাকাভিত্তিক গ্রুপ আলাদা হয়ে যাচ্ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুমে নতুন করে স্থানান্তর করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যে রুমে থাকতেন সেই রুমে স্থানান্তর হন অভিযুক্ত প্রান্ত। রাত সাড়ে আটটায় রুমে সবাই না থাকার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কিছুটা দেরিতে রুম থেকে বের হতে চেয়েছিলেন যাতে রুমের সবাই আসলে একসঙ্গে বের হতে পারেন। ওই রুমের সবাইকে আলাদা আলাদা রুমে স্থানান্তর করা হয়। ফলে সবাই নিজেদের নতুন রুমে চলে যায়। কিন্তু তিনজন শিক্ষার্থী রুম ছাড়তে একটু দেরি করেন। তাদের মাঝে ভুক্তভোগী রাসেল একজন।

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রান্ত রুমে এসে রাসেলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে হাতের কাছে রড পেয়ে তা দিয়ে রাসেলকে মারধর করেন। থাপ্পড় দেন। মারধরের কারণে রাসেল তার কোমরে আঘাত পায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন রাসেল।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, আমাদের রুম পরিবর্তন চলছে। তখন আমি রিডিং রুমে ছিলাম। রুমে এসে দেখি প্রান্ত (অভিযুক্ত) আমার রুমে শুয়ে আছে। আমি রুমে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে সে বলতেছে, এখনো রুম থেকে সব জিনিস নিয়ে যাস নাই কেন? তাড়াতাড়ি নিয়ে যা।

রাসেল বলেন, আমি তখন তাকে একটু দেরিতে বের হওয়ার কথা বলতেই সে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। আমি হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার কোমর, হাত ও পেছনে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে বন্ধুরা এসে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রান্ত খুবই উগ্র মেজাজের ছেলে। প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া করে। জুনিয়রদেরও মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গভীর রাতে জুনিয়রদের রুমে গিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে গালাগালি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ প্রান্ত। তিনি বলেন, এ রকম কোনো কিছুই হয়নি। রাসেল আমার বন্ধু হয়। রুম নিয়ে জাস্ট একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে সিনিয়র ভাইয়েরা এসে সমাধান করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি জানি না।

ঢাবিতে রড দিয়ে শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

 ঢাবি প্রতিনিধি 
০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে আটটার দিকে হলের ১১০০১ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মোনাফ প্রান্ত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রাসেল মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হল ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর এদিন এলাকাভিত্তিক গ্রুপ আলাদা হয়ে যাচ্ছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুমে নতুন করে স্থানান্তর করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যে রুমে থাকতেন সেই রুমে স্থানান্তর হন অভিযুক্ত প্রান্ত। রাত সাড়ে আটটায় রুমে সবাই না থাকার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কিছুটা দেরিতে রুম থেকে বের হতে চেয়েছিলেন যাতে রুমের সবাই আসলে একসঙ্গে বের হতে পারেন। ওই রুমের সবাইকে আলাদা আলাদা রুমে স্থানান্তর করা হয়। ফলে সবাই নিজেদের নতুন রুমে চলে যায়। কিন্তু তিনজন শিক্ষার্থী রুম ছাড়তে একটু দেরি করেন। তাদের মাঝে ভুক্তভোগী রাসেল একজন।  

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রান্ত রুমে এসে রাসেলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে হাতের কাছে রড পেয়ে তা দিয়ে রাসেলকে মারধর করেন। থাপ্পড় দেন। মারধরের কারণে রাসেল তার কোমরে আঘাত পায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন রাসেল।  

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, আমাদের রুম পরিবর্তন চলছে। তখন আমি রিডিং রুমে ছিলাম। রুমে এসে দেখি প্রান্ত (অভিযুক্ত) আমার রুমে শুয়ে আছে। আমি রুমে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে সে বলতেছে, এখনো রুম থেকে সব জিনিস নিয়ে যাস নাই কেন? তাড়াতাড়ি নিয়ে যা।

রাসেল বলেন, আমি তখন তাকে একটু দেরিতে বের হওয়ার কথা বলতেই সে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। আমি হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার কোমর, হাত ও পেছনে রড দিয়ে আঘাত করে। পরে বন্ধুরা এসে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রান্ত খুবই উগ্র মেজাজের ছেলে। প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া করে। জুনিয়রদেরও মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গভীর রাতে জুনিয়রদের রুমে গিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে গালাগালি করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ প্রান্ত। তিনি বলেন, এ রকম কোনো কিছুই হয়নি। রাসেল আমার বন্ধু হয়। রুম নিয়ে জাস্ট একটু তর্কাতর্কি হয়েছে। পরে সিনিয়র ভাইয়েরা এসে সমাধান করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজীবুর রহমান সজীবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি জানি না।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও খবর