শেকৃবিতে ক্লাশে উত্ত্যক্তের জেরে সংঘর্ষ, আহত ২
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে উত্ত্যক্তের জেরে দুটি আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপ ও উত্তরাঞ্চল গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আহতরা হলেন- অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের ৭৮তম ব্যাচের ইয়াসির আরাফাত ও মোজাম্মেল মৃধা নোবেল। তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল সংলগ্ন এলাকায় এএসভিএম অনুষদের ৭৮তম ব্যাচের ইয়াসির আরাফাত ও ৭৬তম ব্যাচের রবিউল ইসলামের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় রবিউল মারধরের শিকার হন। এরপর রবিউল তার বন্ধু, বড় ও ছোট ভাইদের পালটা আক্রমণ করলে আরাফাত আহত হন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসলে বাইরে আবারো সংঘর্ষ বাধে। এতে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের মোজাম্মেল মৃধা নোবেল নামে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়।
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে নোবেলকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হসপিটালে নেওয়া হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘৭৭ ব্যাচের তোফায়েল আহমেদ ও ৭৮ ব্যাচের আরাফাত আমাকে দেখে সব সময়ই আউজুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ বলে উপহাস করে। ছয় মাস ধরে এভাবে বিরক্ত করছে। কারণ অনেক আগে আমি এবং তোফায়েল মাদকাসক্ত ছিলাম। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে মাদক থেকে দূরে আছি। কিন্তু সে (তোফায়েল) এখনো মাঝে মাঝে মাদক গ্রহণ করে ক্লাশে আসে। সে বরাবরই আমাকে দেখলে এ শব্দগুলো উচ্চারণ করে। আর যেখানেই দেখা হয় সব জায়গায় এ শব্দগুলো দ্বারা আমাকে বিরক্ত করে। বিষয়টি নিয়ে ডিন ম্যাডামসহ বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিলাম। আজকে মেসেজিংয়ের মাধ্যমে আমি গালি দিলে আরাফাত আমাকে মারধর করে। পরে আমি ওকে (আরাফাত) মারি।’
ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘রবিউল আমাদের সঙ্গে ক্লাশ করে। কিন্তু আমার সঙ্গে গত এক বছর কোনো কথা হয় না। সে তার মতো ক্লাশ করে আমি আমার মতো। কিন্তু আকস্মিক মঙ্গলবার দুপুরে আমাকে ফোন দেয়, ফোন রিসিভ না করায় ফোনে বাজে ভাষায় মেসেজ করে। পরে ক্যাম্পাসের চাতালে আমার সঙ্গে দেখা হলে কথা হয়। সে তার জীবন ধ্বংসের জন্য আমি দায়ী এমন কথা বলে, যার কারণ আমি জানি না। পরে ৬০-৭০ জন ছেলে মিলে আমাকে ধাওয়া দেয় এবং মারধর করে। এ ঘটনার কারণ আমি জানি না। তবে আমার সঙ্গে যখন কথা বলছিল তখন মনে হয়েছে সে মাদকাসক্ত ছিল।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘আহত দুজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দুই পক্ষের স্টেটমেন্ট নিয়ে তদন্ত অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেকৃবিতে ক্লাশে উত্ত্যক্তের জেরে সংঘর্ষ, আহত ২
শেকৃবি প্রতিনিধি
১৫ মার্চ ২০২৩, ১৬:২৭:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে উত্ত্যক্তের জেরে দুটি আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপ ও উত্তরাঞ্চল গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আহতরা হলেন- অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের ৭৮তম ব্যাচের ইয়াসির আরাফাত ও মোজাম্মেল মৃধা নোবেল। তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল সংলগ্ন এলাকায় এএসভিএম অনুষদের ৭৮তম ব্যাচের ইয়াসির আরাফাত ও ৭৬তম ব্যাচের রবিউল ইসলামের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় রবিউল মারধরের শিকার হন। এরপর রবিউল তার বন্ধু, বড় ও ছোট ভাইদের পালটা আক্রমণ করলে আরাফাত আহত হন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা হল প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করতে উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসলে বাইরে আবারো সংঘর্ষ বাধে। এতে ঢাকা আঞ্চলিক গ্রুপের মোজাম্মেল মৃধা নোবেল নামে এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়।
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে নোবেলকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হসপিটালে নেওয়া হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘৭৭ ব্যাচের তোফায়েল আহমেদ ও ৭৮ ব্যাচের আরাফাত আমাকে দেখে সব সময়ই আউজুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ বলে উপহাস করে। ছয় মাস ধরে এভাবে বিরক্ত করছে। কারণ অনেক আগে আমি এবং তোফায়েল মাদকাসক্ত ছিলাম। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে মাদক থেকে দূরে আছি। কিন্তু সে (তোফায়েল) এখনো মাঝে মাঝে মাদক গ্রহণ করে ক্লাশে আসে। সে বরাবরই আমাকে দেখলে এ শব্দগুলো উচ্চারণ করে। আর যেখানেই দেখা হয় সব জায়গায় এ শব্দগুলো দ্বারা আমাকে বিরক্ত করে। বিষয়টি নিয়ে ডিন ম্যাডামসহ বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিলাম। আজকে মেসেজিংয়ের মাধ্যমে আমি গালি দিলে আরাফাত আমাকে মারধর করে। পরে আমি ওকে (আরাফাত) মারি।’
ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘রবিউল আমাদের সঙ্গে ক্লাশ করে। কিন্তু আমার সঙ্গে গত এক বছর কোনো কথা হয় না। সে তার মতো ক্লাশ করে আমি আমার মতো। কিন্তু আকস্মিক মঙ্গলবার দুপুরে আমাকে ফোন দেয়, ফোন রিসিভ না করায় ফোনে বাজে ভাষায় মেসেজ করে। পরে ক্যাম্পাসের চাতালে আমার সঙ্গে দেখা হলে কথা হয়। সে তার জীবন ধ্বংসের জন্য আমি দায়ী এমন কথা বলে, যার কারণ আমি জানি না। পরে ৬০-৭০ জন ছেলে মিলে আমাকে ধাওয়া দেয় এবং মারধর করে। এ ঘটনার কারণ আমি জানি না। তবে আমার সঙ্গে যখন কথা বলছিল তখন মনে হয়েছে সে মাদকাসক্ত ছিল।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘আহত দুজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। দুই পক্ষের স্টেটমেন্ট নিয়ে তদন্ত অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023