পদত্যাগ দাবিতে ববি উপাচার্যের কার্যালয়-বাসভবনে তালা

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
-67ae2394b09ee.jpeg)
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবি করে তার কার্যালয় ও বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকালে ববি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ববির গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়ম বহির্ভূতভাবে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখেছেন উপাচার্য। এছাড়া উপাচার্য অনৈতিক সুবিধা নিতে পাতানো গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করেছেন। ২৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নৃশংস হামলায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আগাম জামিন পাওয়াসহ আজও ক্যাম্পাসে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়নি। নিয়মবহির্ভূতভাবে দুইজন সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে পাতানো গোপন সিন্ডিকেটের আয়োজন করা হয়েছে। আইন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের স্বপদে বহাল রেখে মূল পদে আনার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে।
ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবন ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে ববি প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফার কোনো প্রতিফলন গত ৬ মাসেও না হওয়ার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে উপাচার্যবিরোধী একটি আন্দোলন হয়েছিল। তখন ২২ দফা শর্ত দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় উপাচার্য বলেছিলেন, তিনি সেই শর্তগুলো পূরণ করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি কোনো কথাই রাখেননি। সেই ভিত্তিতেই আজ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। আমরা আর কোন ব্যাখ্যা চাই না। আমাদের এক দফা দাবি পদত্যাগ।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ববির পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে কাজ করেছি। ববির কার্যক্রম যখন সুষ্ঠুভাবে চলছে তখনই অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে স্বৈরাচারী এজেন্ডা বাস্তবায়নে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সম্পর্কে অবগত নই। সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, তারা এসে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা অবগত করেন।