যাত্রী সংকটে সেই শাহনাজ
গত দুদিন ধরে যাত্রী সংকটে পড়েছেন ভাড়ায় বাইক চালানো সংগ্রামী নারী শাহনাজ আক্তার। শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজ (শনিবার) সাড়ে ১২টার দিকে বের হয়েছি। দুইটা কল পেয়েছি, কিন্তু কথা বলে রিকোয়েস্ট ক্যান্সেল করে দিলো।
গতকালও দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৬টা কল পেলাম। সবাই জিজ্ঞেস করলো, আপনি শাহনাজ আপু? জি, বলছি বলে জানালে উত্তর এলো, আচ্ছা যাবো না। তারপর রিকোয়েস্ট ক্যান্সেল করে দিলো।
শাহনাজ আক্তার বলেন, এরকম চলতে থাকলে আমি সন্তান নিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হবো কিভাবে? আর এটা কেন হচ্ছে, তা নিয়েও চিন্তিত তিনি।
তার ধারণা, আবার নতুন কোনো ঝামেলা হতে পারে এই ভাবনা থেকেই হয়তো তারা আমার বাইকে উঠতে ভয় পাচ্ছে।
শাহনাজ বলেন, আমি তো কারও কাছে হাত পাতি নাই। এমনকি বাইক হারানোর পর অনেকেই নতুন বাইক কিনে দিতে চেয়েছিলেন, আমি সেই নতুন বাইকও নেইনি। কাজ করে খাচ্ছিলাম, এখনো কাজই চাই।
কিন্তু বাইক না চালালে দুই মেয়ে আর মাকে নিয়ে চলবো কেমন করে? মেয়েদের লেখাপড়া করাবো কীভাবে?
তিনি বলেন, আমার একটা চাকরির ব্যবস্থা যদি কোনোভাবে হতো, তাহলে মেয়ে দুটোকে লেখাপড়া করাতে পারতাম, আমার মতো কষ্ট যেন ওদের না করতে হয়, সেজন্যই আমার কষ্ট করা।
প্রসঙ্গত গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে শাহনাজের স্কুটিটি চুরি হয়ে যায়। এরপর সেদিন রাতেই স্কুটিটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
যাত্রী সংকটে সেই শাহনাজ
গত দুদিন ধরে যাত্রী সংকটে পড়েছেন ভাড়ায় বাইক চালানো সংগ্রামী নারী শাহনাজ আক্তার। শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজ (শনিবার) সাড়ে ১২টার দিকে বের হয়েছি। দুইটা কল পেয়েছি, কিন্তু কথা বলে রিকোয়েস্ট ক্যান্সেল করে দিলো।
গতকালও দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৬টা কল পেলাম। সবাই জিজ্ঞেস করলো, আপনি শাহনাজ আপু? জি, বলছি বলে জানালে উত্তর এলো, আচ্ছা যাবো না। তারপর রিকোয়েস্ট ক্যান্সেল করে দিলো।
শাহনাজ আক্তার বলেন, এরকম চলতে থাকলে আমি সন্তান নিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হবো কিভাবে? আর এটা কেন হচ্ছে, তা নিয়েও চিন্তিত তিনি।
তার ধারণা, আবার নতুন কোনো ঝামেলা হতে পারে এই ভাবনা থেকেই হয়তো তারা আমার বাইকে উঠতে ভয় পাচ্ছে।
শাহনাজ বলেন, আমি তো কারও কাছে হাত পাতি নাই। এমনকি বাইক হারানোর পর অনেকেই নতুন বাইক কিনে দিতে চেয়েছিলেন, আমি সেই নতুন বাইকও নেইনি। কাজ করে খাচ্ছিলাম, এখনো কাজই চাই।
কিন্তু বাইক না চালালে দুই মেয়ে আর মাকে নিয়ে চলবো কেমন করে? মেয়েদের লেখাপড়া করাবো কীভাবে?
তিনি বলেন, আমার একটা চাকরির ব্যবস্থা যদি কোনোভাবে হতো, তাহলে মেয়ে দুটোকে লেখাপড়া করাতে পারতাম, আমার মতো কষ্ট যেন ওদের না করতে হয়, সেজন্যই আমার কষ্ট করা।
প্রসঙ্গত গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে শাহনাজের স্কুটিটি চুরি হয়ে যায়। এরপর সেদিন রাতেই স্কুটিটি উদ্ধার করে পুলিশ।