যুগান্তর রিপোর্ট ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪০টি ইউনিট। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানানো হয়নি।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত।
তিনি বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৭টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকীর্ণ, আমাদের পানির সঙ্কট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আদিল জানান, চুড়িহাট্টা বড় মসজিদের সামনে থাকা প্রাইভেটকারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
তিনি বলেন, বিকট শব্দে বিস্ফোরণে ভেবেছিলাম বোমা ফেটেছে। দৌড়ে এসে দেখি প্রাইভেটকারে আগুন জ্বলছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশের হোটেল ও কেমিক্যালের গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষ দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে।
তিনি কমপক্ষে ১৫/২০ জনকে আহত অবস্থায় দেখতে পান বলে জানান। তবে কেউ কেউ আবার বলছেন, ওয়াহিদ ম্যানসনের পাশের হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে।
বিক্ষিপ্তভাবে এখনও বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। ভবনটির ছাদেও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্ট্রেচারে করে ব্যাগ ভর্তি করে একের পর এক লাশ বের করে নিয়ে আসছেন। কতজন দগ্ধ হয়েছেন তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। অর্ধশতাধিক ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে ভর্তি। এরমধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
এদিন দিবাগত রাত সোয়া ৪টার দিকে আগুন নেভাতে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছেটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে ৩টা ৪৮ মিনিটে পানি নিয়ে হেলিকপ্টার দুটি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। এরপর আকাশ থেকে পানি ছেটানো হয়।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। নগরবাসী, দেশবাসী সবার দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯