দগ্ধ শিশু রুশদি নেই, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা-মা
যুগান্তর রিপোর্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৩:২০ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডে আবাসিক ভবনের নিচ তলার গ্যারেজ থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ দুজনের লাশ সনাক্ত করা গেছে।
নিহতদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে। তার নাম রুশদি। বাবা শহিদুল কিরমানি রনি (৪০) ও মা জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) এর সঙ্গে ভবনটির তিনতলায় বাস করত সে। তার দগ্ধ বাবা ও মা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
নিহত অপরজন হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদের লিটন। ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। এছাড়া নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শিশু রুশদির দাদা একেএম শহীদুল্লাহ তার নাতির লাশ শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার নাতির লাশ। এছাড়া আর কোনো শিশু সেখানে ছিল না।’
একেএম শহীদুল্লাহ জানান, তার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে রনি বড়। দিলু রোডের ওই বাসার তিন তলায় থাকতেন পরিবার নিয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদি জেলার শিবপুর উপজেলায়। বিআইভিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আইসিএমএ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক হিসেবেও কাজ করতেন। তার স্ত্রী জান্নাত বেক্সিমকো ফার্মাসিউক্যাল লিমিটেডের হিসাবরক্ষক ছিলেন।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধ দুজনের অবস্থাই আশংকাজনক। এদের মধ্যে জান্নাতুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও রনির শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পুড়ে গেছে শ্বাসনালীও। তাদেরকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছেন তিনজন। এরা হলেন সুমাইয়া আক্তার (৩২), তার ছেলে মাহাদী (৯), মাহমুদুল হাসান (৯ মাস)।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দগ্ধ শিশু রুশদি নেই, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা-মা
রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডে আবাসিক ভবনের নিচ তলার গ্যারেজ থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ দুজনের লাশ সনাক্ত করা গেছে।
নিহতদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে। তার নাম রুশদি। বাবা শহিদুল কিরমানি রনি (৪০) ও মা জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৫) এর সঙ্গে ভবনটির তিনতলায় বাস করত সে। তার দগ্ধ বাবা ও মা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
নিহত অপরজন হলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কাদের লিটন। ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। এছাড়া নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শিশু রুশদির দাদা একেএম শহীদুল্লাহ তার নাতির লাশ শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার নাতির লাশ। এছাড়া আর কোনো শিশু সেখানে ছিল না।’
একেএম শহীদুল্লাহ জানান, তার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে রনি বড়। দিলু রোডের ওই বাসার তিন তলায় থাকতেন পরিবার নিয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদি জেলার শিবপুর উপজেলায়। বিআইভিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আইসিএমএ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক হিসেবেও কাজ করতেন। তার স্ত্রী জান্নাত বেক্সিমকো ফার্মাসিউক্যাল লিমিটেডের হিসাবরক্ষক ছিলেন।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধ দুজনের অবস্থাই আশংকাজনক। এদের মধ্যে জান্নাতুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ ও রনির শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। পুড়ে গেছে শ্বাসনালীও। তাদেরকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছেন তিনজন। এরা হলেন সুমাইয়া আক্তার (৩২), তার ছেলে মাহাদী (৯), মাহমুদুল হাসান (৯ মাস)।