‘বুট কিনতে ১০ টাকা নিয়ে যাওয়ার পরই শুনি আমার মাঈনুদ্দিন শেষ’
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৩০:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
‘বুট খাওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই শুনি আমার মাঈনুদ্দিন শেষ। ঘাতক বাস কেড়ে নিয়েছে আমার বুকের ধনকে।’
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার রামপুরায় বাসচাপায় নিহত স্কুলছাত্র মাঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মরদেহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় নিহত দুর্জয়ের শোকাহত বাবা আব্দুর রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘাতক বাস আমার সন্তানকে কেড়ে নিয়েছে। আমি বাসচালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই উপজেলার বাজার জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে স্কুলছাত্র মাঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের লাশ দাফন করা হয়েছে।
নিহত দুর্জয়ের পরিবারের লোকজন জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকার রামপুরায় বসবাস করতেন মাঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে দুর্জয় ছিল সবার ছোট। চলতি বছর ঢাকার একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলপ্রত্যাশী ছিল দুর্জয়।
১৫-১৬ বছর আগে নিজের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে পরিবার নিয়ে ঢাকার রামপুরায় বসবাস করতেন দুর্জয়ের বাবা আব্দুর রহমান। সেখানে তিনি একটি চায়ের দোকান চালাতেন। মাঝে মধ্যে সপরিবারে সরাইলের হালুয়াপাড়ায় দুর্জয়ের নানাবাড়িতে এসে বেড়াতেন। সম্প্রতি আব্দুর রহমান বাড়ি করতে ফের হালুয়াপাড়া গ্রামে দুই শতক জায়গা ক্রয় করেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হয় দুর্জয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
‘বুট কিনতে ১০ টাকা নিয়ে যাওয়ার পরই শুনি আমার মাঈনুদ্দিন শেষ’
‘বুট খাওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই শুনি আমার মাঈনুদ্দিন শেষ। ঘাতক বাস কেড়ে নিয়েছে আমার বুকের ধনকে।’
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার রামপুরায় বাসচাপায় নিহত স্কুলছাত্র মাঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের মরদেহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় নিহত দুর্জয়ের শোকাহত বাবা আব্দুর রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘাতক বাস আমার সন্তানকে কেড়ে নিয়েছে। আমি বাসচালক ও হেলপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই উপজেলার বাজার জামে মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে স্কুলছাত্র মাঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের লাশ দাফন করা হয়েছে।
নিহত দুর্জয়ের পরিবারের লোকজন জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকার রামপুরায় বসবাস করতেন মাঈনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে দুর্জয় ছিল সবার ছোট। চলতি বছর ঢাকার একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলপ্রত্যাশী ছিল দুর্জয়।
১৫-১৬ বছর আগে নিজের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে পরিবার নিয়ে ঢাকার রামপুরায় বসবাস করতেন দুর্জয়ের বাবা আব্দুর রহমান। সেখানে তিনি একটি চায়ের দোকান চালাতেন। মাঝে মধ্যে সপরিবারে সরাইলের হালুয়াপাড়ায় দুর্জয়ের নানাবাড়িতে এসে বেড়াতেন। সম্প্রতি আব্দুর রহমান বাড়ি করতে ফের হালুয়াপাড়া গ্রামে দুই শতক জায়গা ক্রয় করেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় চাপা পড়ে নিহত হয় দুর্জয়।