বঙ্গবন্ধুর চিন্তাশীল মনের প্রতিকৃতি আমাদের সামনে ফুটে উঠছে: ড. বিনায়ক সেন
যুগান্তর প্রতিবেদন
২২ মে ২০২২, ২১:৩০:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডব্লিউভিএ মিলনায়তন শনিবার বিকেল ৪টায় শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন : কিছু সাম্প্রতিক বিতর্ক’ শিরোনামে বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
ড. বিনায়ক সেন তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন এবং এর বর্তমান তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথাগত অর্থে তাত্বিক না হলেও খুঁটিয়ে দেখলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি গতিধারা নিয়ে বঙ্গবন্ধু নানা সময়েই গভীরভাবে ভেবেছেন। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী, নয়াচীন ভ্রমণের স্মৃতিচারণা, তাঁর নেতৃত্বে প্রণীত ’৭২ এর সংবিধানের ধারা-উপধারা, স্বাধীনতার আগে ও পরের বিভিন্ন ভাষণে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাশীল মনের প্রতিকৃতি আমাদের সামনে ফুটে উঠছে। যা আগে ততটা দৃষ্টিগোচর হয়নি।
ড. বিনায়ক সেন তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের কয়েকটি মৌলিক দিক শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন। সমগ্র বিশ্বেই অর্থনীতি ও নৈতিকতা নিয়ে যে আত্মসমীক্ষা চলছে তার নিরিখে তিনি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনকে হাজির করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সুযোগের সমতা’র সমাজ এবং ‘সুষমের বণ্টনের সমাজ’ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন গণহত্যা জাদুঘরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মূল বক্তার প্রবন্ধের উপরও আলোচনা করেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বঙ্গবন্ধুর চিন্তাশীল মনের প্রতিকৃতি আমাদের সামনে ফুটে উঠছে: ড. বিনায়ক সেন
গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডব্লিউভিএ মিলনায়তন শনিবার বিকেল ৪টায় শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন : কিছু সাম্প্রতিক বিতর্ক’ শিরোনামে বক্তৃতা দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
ড. বিনায়ক সেন তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন এবং এর বর্তমান তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথাগত অর্থে তাত্বিক না হলেও খুঁটিয়ে দেখলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি গতিধারা নিয়ে বঙ্গবন্ধু নানা সময়েই গভীরভাবে ভেবেছেন। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী, নয়াচীন ভ্রমণের স্মৃতিচারণা, তাঁর নেতৃত্বে প্রণীত ’৭২ এর সংবিধানের ধারা-উপধারা, স্বাধীনতার আগে ও পরের বিভিন্ন ভাষণে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাশীল মনের প্রতিকৃতি আমাদের সামনে ফুটে উঠছে। যা আগে ততটা দৃষ্টিগোচর হয়নি।
ড. বিনায়ক সেন তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের কয়েকটি মৌলিক দিক শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন। সমগ্র বিশ্বেই অর্থনীতি ও নৈতিকতা নিয়ে যে আত্মসমীক্ষা চলছে তার নিরিখে তিনি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনকে হাজির করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সুযোগের সমতা’র সমাজ এবং ‘সুষমের বণ্টনের সমাজ’ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন গণহত্যা জাদুঘরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মূল বক্তার প্রবন্ধের উপরও আলোচনা করেন।