বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাস কোম্পানিগুলো। টিকিট বিক্রির প্রথম দিন অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি বাস কাউন্টারগুলোতে। তবে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন যাত্রীদের মধ্যে ৭ জুলাই তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি।
শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে গাবতলী ও কল্যাণপুরের বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কাউন্টারে যাত্রীদের টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে অপেক্ষা করে থাকতে দেখা যায়নি। ফলে টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই টিকিট কেটে চলে যেতে পারছেন।
গাবতলীতে বিভিন্ন বাসের অগ্রিম টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, পূর্বঘোষণা থাকলেও অনেক যাত্রী অভিযোগ করছেন আজ অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে সেটি তারা জানতেন না। তা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ারও অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। কোনো কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি টিকিট নিতে।
গাবতলী বাস কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসা এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালের দিকে মানুষের কিছুটা ভিড় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা একেবারেই কমে গেছে। রংপুরের টিকিট পেয়েছি ৭ তারিখের। কিন্তু বাসের সামনের দিকের কোনো সিটি খালি নেই, কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে— পেছনে লাইনের সিট আছে। বাধ্য হয়ে তা কিনতে হয়েছে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সিট ও টিকিট পাওয়া অনেক কঠিন।’
আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমার ৪টা টিকিট দরকার ৭ জুলাইয়ের। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে ৭ তারিখের কোনো টিকিট নেই। অন্যান্য দিনের টিকিট আছে। কিন্তু টিকিট ছাড়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৭ তারিখের টিকিট কীভাবে শেষ হয়ে যায়। এখন টিকিট বিক্রি করবে না, পরে ঠিকই বেশি দামে টিকিট পাওয়া যাবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হানিফ পরিবহণের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারাই টিকিট কাটতে আসছেন সবারই টিকিটের চাহিদা ৭ তারিখ রাতের। ৭ তারিখ রাতে প্রতিটি গন্তব্যে হয়তো ৪টা করে গাড়ি যাবে। তা হলে সবাইকে তো আমরা ৭ তারিখ রাতের টিকিট দিতে পারব না। এ ছাড়া অন্যান্য দিনের কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তা ছাড়া বন্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সব মিলে মানুষের বাড়ি যাওয়ার প্রতি আগ্রহও কম।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাস কোম্পানিগুলো। টিকিট বিক্রির প্রথম দিন অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের খুব একটা ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি বাস কাউন্টারগুলোতে। তবে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন যাত্রীদের মধ্যে ৭ জুলাই তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি।
শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে গাবতলী ও কল্যাণপুরের বিভিন্ন কোম্পানির বাস কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু কাউন্টারে যাত্রীদের টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে অপেক্ষা করে থাকতে দেখা যায়নি। ফলে টিকিট কাটতে আসা যাত্রীরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই টিকিট কেটে চলে যেতে পারছেন।
গাবতলীতে বিভিন্ন বাসের অগ্রিম টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, পূর্বঘোষণা থাকলেও অনেক যাত্রী অভিযোগ করছেন আজ অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে সেটি তারা জানতেন না। তা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ারও অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। কোনো কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি টিকিট নিতে।
গাবতলী বাস কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসা এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালের দিকে মানুষের কিছুটা ভিড় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা একেবারেই কমে গেছে। রংপুরের টিকিট পেয়েছি ৭ তারিখের। কিন্তু বাসের সামনের দিকের কোনো সিটি খালি নেই, কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে— পেছনে লাইনের সিট আছে। বাধ্য হয়ে তা কিনতে হয়েছে। আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সিট ও টিকিট পাওয়া অনেক কঠিন।’
আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমার ৪টা টিকিট দরকার ৭ জুলাইয়ের। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে ৭ তারিখের কোনো টিকিট নেই। অন্যান্য দিনের টিকিট আছে। কিন্তু টিকিট ছাড়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৭ তারিখের টিকিট কীভাবে শেষ হয়ে যায়। এখন টিকিট বিক্রি করবে না, পরে ঠিকই বেশি দামে টিকিট পাওয়া যাবে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে হানিফ পরিবহণের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারাই টিকিট কাটতে আসছেন সবারই টিকিটের চাহিদা ৭ তারিখ রাতের। ৭ তারিখ রাতে প্রতিটি গন্তব্যে হয়তো ৪টা করে গাড়ি যাবে। তা হলে সবাইকে তো আমরা ৭ তারিখ রাতের টিকিট দিতে পারব না। এ ছাড়া অন্যান্য দিনের কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তা ছাড়া বন্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সব মিলে মানুষের বাড়ি যাওয়ার প্রতি আগ্রহও কম।’