নিহত রুবেলের মরদেহ দেখতে হাসপাতালে একাধিক স্ত্রী!
রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে নিহত আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের (৫৫) একাধিক স্ত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে বিভিন্ন সূত্র ভিন্ন স্ত্রীর সংখ্যা জানিয়েছে। একটি সূত্র বলছে, রুবেলের ৮জন স্ত্রী, অন্যটি বলছে ৭ জন।
তবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে মর্গে রাখা রুবেলের মরদেহ দেখতে আসা ৫ জন নারী নিজেদেরকে মৃতের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। এছাড়া রত্না নামে এক তরুণী নিহত মর্গে এসে তার বাবা বলে দাবি করছেন।
আর স্ত্রী বিষয়ক জটিলতার কারণে রুবেলের মরদেহ কার কাছে হস্তান্তর করা হবে, তা নির্ধারণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, একাধিক নারী এসে নিজেদের রুবেলের স্ত্রীর দাবি করছেন। আমরা কার কাছে লাশ হস্তান্তর করব!
মোট কতজন নারী স্ত্রী দাবি করে মরদেহ নিতে চাইছেন- জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকতা মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা শুনেছি দুইজন এসেছেন। ওখানকার দায়িত্বশীল যারা আছেন, তারা পরিচয় শনাক্ত করে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করছেন।’
এরমধ্যে দুর্ঘটনার সময় বেঁচে যাওয়া রুবেলের সন্তান হৃদয় ও সন্তানের নববিবাহিতা স্ত্রী মনি থাকায় তাদের মা রেহানার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে আলোচনায় রয়েছে।
অন্যদিকে রত্না নামের তরুণী নিজেকে রুবেলের মেয়ে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছেন, তার বাবার ৬ জন স্ত্রী রয়েছেন। তার মায়ের সঙ্গে রুবেলের ডিভোর্স হয়েছে।
হাসপাতালে পাশে থাকা এক নারীকে রত্না বলেন, ‘উনি আমার আব্বুর স্ত্রী। আরেকজন আছে, এখন পরিচয় দিচ্ছে না। আব্বু একবার ওনার বাসায় আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওনার সাথে আমি থাকছি, এখন উনি পরিচয় দিতে চাইতেছে না যে আমি তোমার আব্বুর ওয়াইফ।’
মোট কতজনের কথা জানেন- এমন প্রশ্নে রত্না বলেন, ‘আমার জানামতে এই আন্টি, হৃদয়ের মা, রেহানা আন্টি, শাহিদা আন্টি, পারুল আন্টি, আরেকজন আছেন ওনি এখানে নাম বলতে মানা করছেন। তবে এখানে এসে আমি আরেকজনের মান শুনছি। ওনার নাম আমি কোনো দিন শুনিও নাই, দেখিও নাই।’
নারগিস নামের এক নারীর মেয়ে নিপাও নিজেকে রুবেলের মেয়ে বলে দাবি করছেন। মর্গে এসেছেন বাবাকে দেখতে।
নিপা জানান, তার বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করেছে। তিনি ছোটবেলা থেকেই বঞ্চিত। তবে তিনি বাবার মৃত্যুর খবর শুনে একনজর দেখতে এসেছেন। এছাড়া তার কোনো দাবি নেই বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ছেলে হৃদয়ের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে সোমবার পুত্রবধূ রিয়া মনির স্বজনদের গাড়িতে করে এগিয়ে দিতে চান রুবেল। সঙ্গে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা, খালা এবং খালাতো ভাই ও বোন।
উত্তরায় নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে তাদের গাড়ির ওপর।
এ ঘটনায় হৃদয় ও রিয়া বেঁচে গেলেও মারা যান রুবেলসহ বাকি সবাই।
নিহত রুবেলের মরদেহ দেখতে হাসপাতালে একাধিক স্ত্রী!
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৬ আগস্ট ২০২২, ২৩:৪০:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিডট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে নিহত আইয়ুব আলী হোসেন রুবেলের (৫৫) একাধিক স্ত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে বিভিন্ন সূত্র ভিন্ন স্ত্রীর সংখ্যা জানিয়েছে। একটি সূত্র বলছে, রুবেলের ৮জন স্ত্রী, অন্যটি বলছে ৭ জন।
তবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে মর্গে রাখা রুবেলের মরদেহ দেখতে আসা ৫ জন নারী নিজেদেরকে মৃতের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। এছাড়া রত্না নামে এক তরুণী নিহত মর্গে এসে তার বাবা বলে দাবি করছেন।
আর স্ত্রী বিষয়ক জটিলতার কারণে রুবেলের মরদেহ কার কাছে হস্তান্তর করা হবে, তা নির্ধারণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, একাধিক নারী এসে নিজেদের রুবেলের স্ত্রীর দাবি করছেন। আমরা কার কাছে লাশ হস্তান্তর করব!
মোট কতজন নারী স্ত্রী দাবি করে মরদেহ নিতে চাইছেন- জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকতা মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা শুনেছি দুইজন এসেছেন। ওখানকার দায়িত্বশীল যারা আছেন, তারা পরিচয় শনাক্ত করে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করছেন।’
এরমধ্যে দুর্ঘটনার সময় বেঁচে যাওয়া রুবেলের সন্তান হৃদয় ও সন্তানের নববিবাহিতা স্ত্রী মনি থাকায় তাদের মা রেহানার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে আলোচনায় রয়েছে।
অন্যদিকে রত্না নামের তরুণী নিজেকে রুবেলের মেয়ে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছেন, তার বাবার ৬ জন স্ত্রী রয়েছেন। তার মায়ের সঙ্গে রুবেলের ডিভোর্স হয়েছে।
হাসপাতালে পাশে থাকা এক নারীকে রত্না বলেন, ‘উনি আমার আব্বুর স্ত্রী। আরেকজন আছে, এখন পরিচয় দিচ্ছে না। আব্বু একবার ওনার বাসায় আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওনার সাথে আমি থাকছি, এখন উনি পরিচয় দিতে চাইতেছে না যে আমি তোমার আব্বুর ওয়াইফ।’
মোট কতজনের কথা জানেন- এমন প্রশ্নে রত্না বলেন, ‘আমার জানামতে এই আন্টি, হৃদয়ের মা, রেহানা আন্টি, শাহিদা আন্টি, পারুল আন্টি, আরেকজন আছেন ওনি এখানে নাম বলতে মানা করছেন। তবে এখানে এসে আমি আরেকজনের মান শুনছি। ওনার নাম আমি কোনো দিন শুনিও নাই, দেখিও নাই।’
নারগিস নামের এক নারীর মেয়ে নিপাও নিজেকে রুবেলের মেয়ে বলে দাবি করছেন। মর্গে এসেছেন বাবাকে দেখতে।
নিপা জানান, তার বাবা ও মা অন্যত্র বিয়ে করেছে। তিনি ছোটবেলা থেকেই বঞ্চিত। তবে তিনি বাবার মৃত্যুর খবর শুনে একনজর দেখতে এসেছেন। এছাড়া তার কোনো দাবি নেই বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ছেলে হৃদয়ের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে সোমবার পুত্রবধূ রিয়া মনির স্বজনদের গাড়িতে করে এগিয়ে দিতে চান রুবেল। সঙ্গে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা, খালা এবং খালাতো ভাই ও বোন।
উত্তরায় নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে তাদের গাড়ির ওপর।
এ ঘটনায় হৃদয় ও রিয়া বেঁচে গেলেও মারা যান রুবেলসহ বাকি সবাই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023