ছয় দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০৮:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির হয়ে সারাদেশের শিক্ষকবৃন্দ অবস্থান নিয়েছেন। ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজির হয়েছেন ১৫০০ বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ বলেন, ‘প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের জাতীয় করণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেগ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চাহিদা অনুযায়ী তথ্যসহ অনলাইনে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই সরকারের কাছে মানবিক আবেদন জানাতেই আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই অবস্থান কর্মসূচি।
তিনি বলেন, আমাদের চাওয়া মানবেতন জীবন যাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজের অবদান রাখার ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতেই আমাদের এই কর্মসূচি।’
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম সালেহ বেলাল বলেন, ‘দেশের বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ১৫০০ বিদ্যালয়ে পাঁচ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের শিক্ষাদান করতে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। আমরা তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
ছয় দফা দাবিগুলো হলো-
১. দ্রুততার সঙ্গে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও প্রদান নিশ্চিত করা।
২. বিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ হতে চাকরি নিয়মিত করা এবং বেতন ভাতা নিশ্চিত করা।
৩. শতভাগ আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ সুনিশ্চিত করা।
৪. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিত করা ও সকল শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৫. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ও কমপেক্ষ পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের উদ্যোগ বাস্থবায়ন।
৬. শিক্ষা জীবন শেষে প্রত্যেকের আত্ননির্ভরশীল জীবনযাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ছয় দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির হয়ে সারাদেশের শিক্ষকবৃন্দ অবস্থান নিয়েছেন। ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ-এর ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজির হয়েছেন ১৫০০ বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ বলেন, ‘প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের জাতীয় করণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেগ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চাহিদা অনুযায়ী তথ্যসহ অনলাইনে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই সরকারের কাছে মানবিক আবেদন জানাতেই আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই অবস্থান কর্মসূচি।
তিনি বলেন, আমাদের চাওয়া মানবেতন জীবন যাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজের অবদান রাখার ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতেই আমাদের এই কর্মসূচি।’
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম সালেহ বেলাল বলেন, ‘দেশের বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ১৫০০ বিদ্যালয়ে পাঁচ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের শিক্ষাদান করতে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। আমরা তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
ছয় দফা দাবিগুলো হলো-
১. দ্রুততার সঙ্গে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও প্রদান নিশ্চিত করা।
২. বিদ্যালয় কতৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ হতে চাকরি নিয়মিত করা এবং বেতন ভাতা নিশ্চিত করা।
৩. শতভাগ আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ সুনিশ্চিত করা।
৪. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিত করা ও সকল শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা।
৫. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ও কমপেক্ষ পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের উদ্যোগ বাস্থবায়ন।
৬. শিক্ষা জীবন শেষে প্রত্যেকের আত্ননির্ভরশীল জীবনযাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।