রাত ১টায় লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি টিসিবির পণ্য!
রাজধানীর মিরপুর ৭ নম্বরের বাসিন্দা অজুফা ইয়াসমিন। আসন্ন রমজান উপলক্ষে টিসিবির ৫৭০ টাকার পণ্য নিতে সোমবার রাত ১টায় মিরপুর ১২ নম্বর টিসিবির ডিলারের অফিসের সামনে এসে লাইনে দাঁড়ান। রাত পেরিয়ে সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এর পর বিকাল ৩টার দিকে টিসিবির পণ্য ছাড়াই খালি হাতে তিনি বাসায় ফেরেন। শুধু অজুফা নয়, তার মতো অনেকে গভীর রাত থেকে বিকাল পর্যন্ত টিসিবির পন্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে বাসায় ফেরেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মিরপুর ১২ নম্বর টিসিবির ডিলার আশরাফ ট্রেডার্সের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর ১২ নম্বর টিসিবির অনুমোদিত ডিলার আশরাফ ট্রেডার্সের সামনে শত শত নারী পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে কখন ডিলারের অফিস (আশরাফ ট্রেডার্স) খুলবে। অথচ সকাল থেকে ডিলারের দেখা নেই, অফিস বন্ধ। বিকালের পর টিসিবির পণ্য ছাড়াই লোকজন খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।
দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে রাস্তায় বসে আহাজারি করছেন। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে চোখ মুখও ঝাপসা হয়ে গেছে কারও কারও। এরপরও টিসিবির ডিলারের দেখা নেই।
মিরপুর ৬ নম্বরের বাসিন্দা রোজিনা বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবি ৫৭০ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে তেল, ডাল, চিনি, খেজুর, ছোলা রয়েছে। ভোর ৪টায় তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্গে ৩ বছরের ছেলে পলিনকেও এনেছেন। দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ানোর পর ছেলে কান্নাকাটি শুরু করে। এর পর লাইন থেকে বের হয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন টিসিবির পণ্যের অপেক্ষায়।
এ ব্যাপারে আশরাফ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আশরাফ বলেন, আমার এখানে গত কয়েকমাস টিসিবির পন্য দেয়া বন্ধ ছিল। আজ প্রথম দোকান খুলি। এর পর সকাল ১১টার দিকে ৩ জনকে পণ্য (মালামাল) দেই। অনেক মানুষের চাপের কারণে কিছুক্ষণ পর দোকান বন্ধ করে দেই। লোকজন লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও মারামারি শুরু করে। আমি তাদের কন্ট্রোল করতে পারিনি। পুলিশকে খবর দিলে তারাও এসে সামাল দিতে পারেনি। আগামীকাল থেকে আবার পণ্য দেওয়া শুরু করব।
এ ব্যাপারে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, যদি কেউ মালামাল পেয়ে না থাকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর অতি দ্রুত মাননীয় মেয়র ও সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকার্তদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে।
রাত ১টায় লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি টিসিবির পণ্য!
মিরপুর প্রতিনিধি
২১ মার্চ ২০২৩, ২৩:৩২:১৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর মিরপুর ৭ নম্বরের বাসিন্দা অজুফা ইয়াসমিন। আসন্ন রমজান উপলক্ষে টিসিবির ৫৭০ টাকার পণ্যনিতে সোমবার রাত ১টায় মিরপুর ১২ নম্বর টিসিবির ডিলারের অফিসের সামনে এসে লাইনে দাঁড়ান। রাত পেরিয়ে সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এর পর বিকাল ৩টার দিকে টিসিবির পণ্য ছাড়াই খালি হাতে তিনি বাসায় ফেরেন। শুধু অজুফা নয়, তার মতো অনেকে গভীর রাত থেকে বিকাল পর্যন্ত টিসিবির পন্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে বাসায় ফেরেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মিরপুর ১২ নম্বর টিসিবির ডিলার আশরাফ ট্রেডার্সের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর ১২ নম্বর টিসিবির অনুমোদিত ডিলার আশরাফ ট্রেডার্সের সামনে শত শত নারী পুরুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে কখন ডিলারের অফিস (আশরাফ ট্রেডার্স) খুলবে। অথচ সকাল থেকে ডিলারের দেখা নেই, অফিস বন্ধ। বিকালের পর টিসিবির পণ্য ছাড়াই লোকজন খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।
দীর্ঘক্ষণলাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে রাস্তায় বসে আহাজারি করছেন। আবার লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় থাকতে থাকতে চোখ মুখও ঝাপসা হয়ে গেছে কারও কারও। এরপরও টিসিবির ডিলারের দেখা নেই।
মিরপুর ৬ নম্বরের বাসিন্দা রোজিনা বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে টিসিবি ৫৭০ টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে তেল, ডাল, চিনি, খেজুর, ছোলা রয়েছে। ভোর ৪টায় তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সঙ্গে ৩ বছরের ছেলে পলিনকেও এনেছেন। দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাঁড়ানোর পর ছেলে কান্নাকাটি শুরু করে। এর পর লাইন থেকে বের হয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন টিসিবির পণ্যের অপেক্ষায়।
এ ব্যাপারে আশরাফ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আশরাফ বলেন, আমার এখানে গত কয়েকমাস টিসিবির পন্য দেয়া বন্ধ ছিল। আজ প্রথম দোকান খুলি। এর পর সকাল ১১টার দিকে ৩ জনকে পণ্য (মালামাল) দেই। অনেক মানুষের চাপের কারণে কিছুক্ষণ পর দোকান বন্ধ করে দেই। লোকজন লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও মারামারি শুরু করে। আমি তাদের কন্ট্রোল করতে পারিনি। পুলিশকে খবর দিলে তারাও এসে সামাল দিতে পারেনি। আগামীকাল থেকে আবার পণ্য দেওয়া শুরু করব।
এ ব্যাপারে ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, যদি কেউ মালামাল পেয়ে না থাকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর অতি দ্রুত মাননীয় মেয়র ও সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকার্তদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023