‘আমার টাকা নাই বলে, তুমি অন্যের হাত ধরে চলে যাবে’
jugantor
‘আমার টাকা নাই বলে, তুমি অন্যের হাত ধরে চলে যাবে’

  ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি  

২৯ মার্চ ২০২৩, ০২:১৭:০৩  |  অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর ডেমরায় স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে শাকিল মিয়া (২৪) নামে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে মুসলিমনগর শাহিদ মিয়ার বাড়ীর নিচতলা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানা পুলিশ।


এদিকে গত ২৬ মার্চ আত্নহত্যার আগে শাকিল ডায়েরীতে লেখেন-আমি গরিব মানুষ বলে কিছুই করতে পারলাম না। আমার টাকা পয়সা নাই বলে তুমি হয়তো অন্যের হাত ধরে চলে যাবে।

শাকিল রংপুরের পীরগঞ্জ থানার রোজবাহাপুর গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ীওয়ালার মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয়রা ডেমরা থানা পুলিশকে জানায় । পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিলিং ফ্যান ঝুলানোর হুকের সঙ্গে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত শাকিলের লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই দিন বিকালেই ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।


জানা গেছে, শাকিল তার স্ত্রী লিপি দেওয়ান ওরফে কালাদি কে (চাকমা) নিয়ে গত ৩ মাস ধরে মুসলিমনগেওর ভাড়া বাসায় থাকতেন। দারিদ্রতার কারণে গত ১ সপ্তাহ আগে স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়, পরে এক পর্যায়ে কালাদি রাঙামাটি তার পিত্রালয়ে চলে যায়। গত ২৭ মার্চ রাতেও মোবাইল ফোনে বাকবিতন্ডা হয় তাদের মধ্যে।

এ ঘটনায় কালাদি ডেমরায় তার প্রতিবেশী বান্ধবি রাহেলাকে ওই রাতেই মোবাইল ফোনে জানায় শাকিল বাসায় একা রয়েছেন এবং ওর দিকে একটু খেয়াল রাখতে। এদিকে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে রাহেলা শাকিলের বাসায় এসে দেখেন সে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন,ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

‘আমার টাকা নাই বলে, তুমি অন্যের হাত ধরে চলে যাবে’

 ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি 
২৯ মার্চ ২০২৩, ০২:১৭ এএম  |  অনলাইন সংস্করণ

রাজধানীর ডেমরায় স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে শাকিল মিয়া (২৪) নামে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে মুসলিমনগর শাহিদ মিয়ার বাড়ীর নিচতলা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানা পুলিশ। 


এদিকে গত ২৬ মার্চ আত্নহত্যার আগে শাকিল ডায়েরীতে লেখেন-আমি গরিব মানুষ বলে কিছুই করতে পারলাম না। আমার টাকা পয়সা নাই বলে তুমি হয়তো অন্যের হাত ধরে চলে যাবে।

শাকিল রংপুরের পীরগঞ্জ থানার রোজবাহাপুর গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ীওয়ালার মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয়রা ডেমরা থানা পুলিশকে জানায় । পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিলিং ফ্যান ঝুলানোর হুকের সঙ্গে ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলন্ত শাকিলের লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই দিন বিকালেই ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। 


জানা গেছে, শাকিল তার স্ত্রী লিপি দেওয়ান ওরফে কালাদি কে (চাকমা) নিয়ে গত ৩ মাস ধরে মুসলিমনগেওর ভাড়া বাসায় থাকতেন। দারিদ্রতার কারণে গত ১ সপ্তাহ আগে স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়, পরে এক পর্যায়ে কালাদি রাঙামাটি তার পিত্রালয়ে চলে যায়। গত ২৭ মার্চ রাতেও মোবাইল ফোনে বাকবিতন্ডা হয় তাদের মধ্যে।

এ ঘটনায় কালাদি ডেমরায় তার প্রতিবেশী বান্ধবি রাহেলাকে ওই রাতেই মোবাইল ফোনে জানায় শাকিল বাসায় একা রয়েছেন এবং ওর দিকে একটু খেয়াল রাখতে। এদিকে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে রাহেলা শাকিলের বাসায় এসে দেখেন সে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন,ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন