চিড়িয়াখানায় শিশুর হাত কামড়ে ছিঁড়ে নিল হায়েনা
মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুই বছর বয়সি এক শিশুর হাত কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে এক হায়েনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেষ্টনীর ফোকর দিয়ে শিশুটি হাত ঢুকিয়ে দিলে হায়েনা কামড় বসিয়ে তার ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত ছিঁড়ে নেয়। এ ঘটনায় কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
মিরপুর বিভাগের (দারুসসালাম জোন) সহকারী পুলিশ কমিশনার মফিজুর রহমান পলাশ জানান, হায়েনার খাঁচাটি সাত ফুট উঁচু লোহার রড ও বেড়া দিয়ে ঘেরা। বেড়ার নির্দিষ্ট দূরে লোহার রড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনীও আছে।
ওই নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম না করার বিষয়েও নির্দেশনা সেখানে টানানো আছে। সেই নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে নেট লাগানো খাঁচার ভেতরে শিশুটি নিশ্চয় হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল। কারণ খাঁচার ভেতর থেকে হায়েনা শিশুর হাতে কামড়ে কব্জি বরাবর ছিঁড়ে নিয়েছে।
তিনি জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাজীপুর থেকে মা শিউলি ও ছয় স্বজনের সঙ্গে শিশুটি চিড়িয়াখানায় এসেছিল।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, সবার অলক্ষ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তবুও এখানে কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তদন্তে নিশ্চয় কেন এমন ঘটনা ঘটল, কারও দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা-এসব বিষয় উঠে আসবে। কারও অবহেলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীরা শিশুটিকে উদ্ধার করে চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। দ্রুততার সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির সুচিকিৎসার সব ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
পরিচালক রফিকুল ইসলাম আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অধিদপ্তর থেকে কর্মকর্তারা সব কিছু ঘুরে দেখেছেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন।
চিড়িয়াখানায় শিশুর হাত কামড়ে ছিঁড়ে নিল হায়েনা
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৮ জুন ২০২৩, ২২:০৪:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুই বছর বয়সি এক শিশুর হাত কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে এক হায়েনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেষ্টনীর ফোকর দিয়ে শিশুটি হাত ঢুকিয়ে দিলে হায়েনা কামড় বসিয়ে তার ডান হাতের কব্জি পর্যন্ত ছিঁড়ে নেয়। এ ঘটনায় কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
মিরপুর বিভাগের (দারুসসালাম জোন) সহকারী পুলিশ কমিশনার মফিজুর রহমান পলাশ জানান, হায়েনার খাঁচাটি সাত ফুট উঁচু লোহার রড ও বেড়া দিয়ে ঘেরা। বেড়ার নির্দিষ্ট দূরে লোহার রড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনীও আছে।
ওই নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম না করার বিষয়েও নির্দেশনা সেখানে টানানো আছে। সেই নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে নেট লাগানো খাঁচার ভেতরে শিশুটি নিশ্চয় হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল। কারণ খাঁচার ভেতর থেকে হায়েনা শিশুর হাতে কামড়ে কব্জি বরাবর ছিঁড়ে নিয়েছে।
তিনি জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাজীপুর থেকে মা শিউলি ও ছয় স্বজনের সঙ্গে শিশুটি চিড়িয়াখানায় এসেছিল।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, সবার অলক্ষ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তবুও এখানে কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তদন্তে নিশ্চয় কেন এমন ঘটনা ঘটল, কারও দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা-এসব বিষয় উঠে আসবে। কারও অবহেলা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীরা শিশুটিকে উদ্ধার করে চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। দ্রুততার সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশুটির সুচিকিৎসার সব ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
পরিচালক রফিকুল ইসলাম আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অধিদপ্তর থেকে কর্মকর্তারা সব কিছু ঘুরে দেখেছেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023