স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী রিমান্ডে
রাজধানীর রামপুরায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে নিনা খানের (৪৩) লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হিসাবে তার কপালে ও মুখে আঘাতের কথা উলেখ করেছে। শুক্রবার রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি যুগান্তরকে বলেন, নিনা খানের (৪৩) লাশ উদ্ধারের পর তার স্বামীকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় নিনার স্বামীকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিনার মরদেহ উদ্ধারের পর তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রামপুরা থানার এসআই তওফিকা ইয়াসমিন। এতে বলা হয়, লাশ পাবার সময় তার মুখে সাদা ফেনা ভর্তি ছিল। নাভি থেকে কপাল পর্যন্ত সারা শরীরে ছিল পোড়া দাগ। কপালের ডান পাশে এবং নাকের নিচে বাম পাশ থেকে ঠোঁট পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা নিনার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তার স্বামী গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্যও তুলে ধরেন। তার স্বামী দাবি করেন, গ্যাসের চুলায় রান্না করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আগুন লেগে সারা শরীর পুড়ে নিনা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ তার দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের মাথার পেছনে থেঁতলানো জখম, কপালের ডানপাশে এবং নাকের নিচে বাম দিকে কাটা জখম ছিল বলেও প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়।
মৃত নিনা খানের ভাগ্নি (বোনের মেয়ে) লিরা খান যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার মারধর ও নির্যাতনেই আমার খালার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার নাটক সাজানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখলেই বোঝা যায়, এটা কখনোই দুর্ঘটনা হতে পারে না। বরং দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্যাতন করে তাকে খুন করা হয়েছে। এর আগেও যৌতুকের জন্য খালাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে।
স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী রিমান্ডে
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৯ জুন ২০২৩, ২১:১১:১০ | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর রামপুরায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিকে নিনা খানের (৪৩) লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ হিসাবে তার কপালে ও মুখে আঘাতের কথা উলেখ করেছে। শুক্রবার রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি যুগান্তরকে বলেন, নিনা খানের (৪৩) লাশ উদ্ধারের পর তার স্বামীকে আটক করা হয়েছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় নিনার স্বামীকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিনার মরদেহ উদ্ধারের পর তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রামপুরা থানার এসআই তওফিকা ইয়াসমিন। এতে বলা হয়, লাশ পাবার সময় তার মুখে সাদা ফেনা ভর্তি ছিল। নাভি থেকে কপাল পর্যন্ত সারা শরীরে ছিল পোড়া দাগ। কপালের ডান পাশে এবং নাকের নিচে বাম পাশ থেকে ঠোঁট পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা নিনার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তার স্বামী গিয়াস উদ্দিনের বক্তব্যও তুলে ধরেন। তার স্বামী দাবি করেন, গ্যাসের চুলায় রান্না করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আগুন লেগে সারা শরীর পুড়ে নিনা মৃত্যুবরণ করেন। অথচ তার দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের মাথার পেছনে থেঁতলানো জখম, কপালের ডানপাশে এবং নাকের নিচে বাম দিকে কাটা জখম ছিল বলেও প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়।
মৃত নিনা খানের ভাগ্নি (বোনের মেয়ে) লিরা খান যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার মারধর ও নির্যাতনেই আমার খালার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার নাটক সাজানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখলেই বোঝা যায়, এটা কখনোই দুর্ঘটনা হতে পারে না। বরং দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্যাতন করে তাকে খুন করা হয়েছে। এর আগেও যৌতুকের জন্য খালাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023