দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে তিন দিনব্যাপী ‘ফ্লাস সেল’ মেলা আজ শেষ হচ্ছে। যেখানে ১৯টি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড বিনামূল্যে মেলায় অংশ নিয়ে তাদের পণ্য ১০-৭০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করছে। এতে পণ্য কেনায় ক্রেতার ব্যপক আগ্রহ তৈরি হয়। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। ফলে খুশি বিক্রেতারাও। 

শনিবার দ্বিতীয় দিন শপিংমলের ওয়েস্ট কোর্টের লোয়ার গ্রাউন্ডে মেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

যমুনা ফিউচার পার্কের উদ্যোগ ও রাতহাজ ফ্যাশনের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯টি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড এ মেলায় অংশ নিয়েছে। মেলায় ক্রিসেন্টের স্টলে জুতা দেখছেন মো. আল আমিন হক। তিনি যুগান্তরকে জানান, শপিং মলের ক্রিসেন্টর শোরুমের তুলনায় এ মেলায় জুতার দাম অনেক কম। তারা ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে। তাই এই স্টলে এসেছি। তিনি বলেন, দুটি জুতা পড়ে দেখলাম। দুটোই ভালো লেগেছে। মূল দামের তুলনায় ৫০ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পেড়েছি। এতে আমার লাভ হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির স্টলের ক্যাশিয়ার আমজাদ হোসেন জানান, প্রথম দিনই ক্রেতার বেশ আগ্রহ ছিল। সকাল থেকেই বিক্রি হয়েছে। মেলার দ্বিতীয় দিনও বিক্রি বেশ ভালো। ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো পণ্য পেয়ে খুশি। আর আমাদের বিক্রি ভালো হওয়ায় আমরাও অনেক খুশি। মেলার আর একদিন (রোববার) বাকি আছে। আশা করছি শেষ দিন বিক্রি আরও বাড়বে। তিনি জানান, এই ফ্লাস সেল উপলক্ষ্যে ১৫ ধরনের জুতা ও নিত্যব্যবহার্য পণ্যে ৫০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করছি। পাশাপাশি বাকি সব ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে।

লাইভ শপিং স্টল ঘুরে পোশাক দেখছেন জাহিদুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বন্ধু মিলে মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে এসেছিলাম। মেলা হচ্ছে দেখে এখানে এলাম। এসে দেখি সব ধরনের পণ্যের ছাড় চলছে। দুই বন্ধু এই স্টলে পোশাক পছন্দ করেছি। ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে। দামেও অনেক কম। তাই কিনে নিলাম। এমন ফ্লাস সেল মেলা আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকার হয়।

এক্সক্লুসিভ ড্রেস স্টলে কথা হয় তামজিদ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শপিংমলে প্রবেশ করার পর ভেতরে মেলার ঘোষণা শুনে মেলার ভেতরে এলাম। এখানে প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখছি। প্রতিটি দোকানে পণ্যের ওপর মূল্য ছাড় দিয়ে বিক্রি করছে। এর মধ্যে পোশাক ছাড়াও চামড়ার জুতা, বেল্ট, মানিব্যাগ নজর কেড়েছে। এই স্টল থেকে বের হয়ে এ সব পণ্যের স্টলে যাব। বাজেটের মধ্যে পছন্দ করে কিনব।