Logo
Logo
×

লাইফ স্টাইল

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ভোগাচ্ছে? এড়িয়ে চলতে পারেন এই ৮ উপায়ে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ভোগাচ্ছে? এড়িয়ে চলতে পারেন এই ৮ উপায়ে

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে/সংগৃহীত

অনেক সময় আমরা আমাদের প্রকৃত ক্ষুধার চেয়ে চোখের লোভে বেশি খাবার খেয়ে ফেলি। বিশেষ করে উৎসব, পার্টি বা পরিবারের অনুষ্ঠানে এমন সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। কালেভদ্রে এমন হলে খুব একটা সমস্যা নেই, কিন্তু এটি যদি অভ্যাসে পরিণত হয়, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া দীর্ঘমেয়াদে ওজন বাড়ানো, হজমে সমস্যা, এমনকি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

হিউস্টন মেথডিস্ট হাসপাতালে ওয়েলনেস ডায়েটিশিয়ান কাইলি অ্যারিনডেল বলেন, ‘ওভারইটিং মানে হলো শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া। আমরা সবাই কখনো না কখনো এটা করি, কিন্তু যদি নিয়মিত হয়, তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’

তিনি জানান, অতিরিক্ত খাবারের স্বল্পমেয়াদি প্রভাব হতে পারে পেট ব্যথা, গ্যাস, বমি ভাব বা হজমের সমস্যা। দীর্ঘমেয়াদে এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অ্যারিনডেল অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস কমানোর জন্য কয়েকটি কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন:

  • পরিমাণমতো খাবার খান: প্যাকেজে লেখা নির্দেশনা অনুসরণ করুন। ছোট প্লেটে পরিবেশন করলে খাবারের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে কমে।
  • আঁশযুক্ত খাবার খান: শাকসবজি, ফল এবং পূর্ণ শস্য খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
  • দীর্ঘ সময় না খাওয়া এড়ান: বেশি সময় খালি পেটে রাখলে পরবর্তী খাবারে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার সীমিত করুন: চিনিযুক্ত, লবণাক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ কমান।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন: অনেক সময় ক্ষুধাকে তৃষ্ণার সাথে বিভ্রান্ত করা হয়।
  • মনোযোগ দিয়ে খাবার খান: টিভি বা মোবাইল থেকে মনোযোগ সরিয়ে খাবার খান।
  • ধীরে ধীরে খান: এতে মস্তিষ্ক ও পেটের মধ্যে পূর্ণতার সংকেত পৌঁছাতে সময় পায়।
  • দ্বিতীয় বারের খাবার নেওয়ার আগে অপেক্ষা করুন: সত্যিই ক্ষুধা থাকলে খাবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়ার পেছনে মানসিক কারণও থাকতে পারে। অনেকেই দুঃখ, স্ট্রেস বা একাকিত্ব কমাতে খাবারের আশ্রয় নেন, যা ‘ইমোশনাল ইটিং’ নামে পরিচিত। এমন হলে ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অ্যারিনডেল বলেন, ‘খাবার হলো শরীরকে পুষ্টি দেওয়ার মাধ্যম। তাই সেটি সচেতনভাবে উপভোগ করুন, অভ্যাস হিসেবে নয়।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম