নোনা জলের কাব্য জেলেদের ছবি, জেলেরাই দেখলো সবার আগে
গত এক বছর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সাড়া জাগানো ছবি 'নোনাজলের কাব্য' - আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মুক্তি পাচ্ছে।
বাংলাদেশে এ ছবির টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ এবং পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স। ছবিটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।
পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের জীবনযাত্রা নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি, প্রেক্ষাগৃহে সাধারণ দর্শকদের উদ্দ্যেশ্যে প্রদর্শনের আগে পটুয়াখালীর জেলে পরিবারদের জন্য প্রদর্শিত হয়। পটুয়াখালীর জেলেপল্লী কুয়াকাটা পিকনিক স্পট, চর গঙ্গামতীর জেলে পরিবারের জন্য ২২ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী উক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
২২ নভেম্বর সকাল ও বিকাল দুই বেলার প্রদর্শনীতে প্রায় ১২০০ দর্শকের উপস্থিতি ছিল। এই দিন প্রধান অতিথি হিসেব পটুয়াখালী জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় বিকালের প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।
‘নোনা জলের কাব্য’ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটেল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে 'নোনাজলের কাব্য'। তবে সবচেয়ে বড় খবর চলচ্চিত্র উৎসবের গন্ডি পেরিয়ে 'নোনাজলের কাব্য' পাড়ী জমিয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন COP26-এ।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে নভেম্বরের ৮ তারিখে আইম্যাক্স থিয়েটারে দেখানো হয় বাংলাদেশের এই চলচ্চিত্র। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এছাড়াও একই শহরে জাতিসংঘের COY16 সম্মেলনে অক্টোবরের ২৯ তারিখ দেখানো হয় 'নোনাজলের কাব্য'।
দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, সংস্কৃতির প্রসার এবং পরিবেশের অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্র তথা বিনোদন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে – এই বিশ্বাস নিয়েই পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মাণ করেছেন ‘নোনা জলের কাব্য’।
তিনি বলেন, “ছবিটি নির্মাণ করতে আজ থেকে তিন বছর আগে আমি গিয়েছিলাম পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত এক জেলেপাড়ায়। খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, উপকূলবর্তী সেই গ্রামটির এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। মহামারীর কারণে প্রায় ১.৫ বছর আমার সেখানে যাওয়া হয়ে উঠে নি, কিন্তু এবার যখন পরিচিত সেই জায়গার খোঁজে, প্রিয় সেই মানুষগুলোর খোঁজে গেলাম, গিয়ে দেখি সেখানে কেবলমাত্র কিছু গাছপালা ভেঙে পরে রয়েছে, জোয়ারের পানি উঠবে উঠবে ভাব। জানতে পারলাম এই অঞ্চলে গত ২-৩ বছর যাবৎ সমুদ্রের পানির উচ্চতা খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। জোয়ারের তীব্রতা তো রয়েছেই, গতবছর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান-ও অনেক ক্ষতি করেছে।”
এসকল প্রতিকূলতা গভীর সমুদ্রে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে তেমন একটা নেতিবাচক প্রভাব না ফেললেও, হারিয়ে যাচ্ছে অনাদিকাল থেকে চলে আসা এসকল প্রান্তিক জেলেদের উপার্জনের পন্থা। জেলেরা হারিয়ে ফেলছে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকার ক্ষমতা। জীবিকার তাগিদে ধীরে ধীরে তারা পাড়ি জমাতে শুরু করেছে শহরাঞ্চলে।
সুমিত বলেন - “'নোনাজলের কাব্য' ছবিতে যে সকল জেলে ভাই বোনেরা অভিনয় করেছিলেন, তাদের কারও কারও সাথে আমার এবার দেখা হয়েছে। তাদের মুখে শুনেছি ইলিশ মাছও নাকি এখন অপ্রতুল। শুনে বুঝলাম তাদের জীবনের এই কঠিন বাস্তবতা আমার সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে। সংগ্রামী এই মানুষগুলোর গল্প বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা খুব জরুরি, সেই সূত্রেই জাতিসংঘের জলবায়ু কনফারেন্সে আবেদন করা। আয়োজকদের আমি বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই, কারণ তারা আমার ছবিকে, এবং আমার ছবির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছেন।
'নোনাজলের কাব্য' জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখ যুদ্ধের এক উপাখ্যান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।”
জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেছেন – “আমি সিনেমায় ‘চেয়ারম্যান’ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। একটি চমৎকার আবহে কাজটি করার সুযোগ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সততার এবং নিষ্ঠার সহিত সাথে কাজ করলে, একটি সিনেমা মানসম্মত হয়। আমি আশাবাদী, ‘নোনাজলের কাব্য’ আমাদের দেশের চলচ্চিত্র আঙ্গিনায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমি আপামর সিনেমাপ্রেমীদের অনুরোধ করবো, আপনারা সিনেমা হলে আসবেন এবং আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি করা এই ছবিটি বড় পর্দায় দেখবেন।”
'নোনাজলের কাব্য' প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ও ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরার্দ। জিরার্দ, ‘মার্চ অব দ্য পেঙ্গুইন‘, ‘গুডবাই বাফানা‘, ‘ফাইনাল পোর্ট্রেট‘-এর মতো বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। ছবির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলসে বসবাসরত থাই শিল্পী চানানুন চতরুংগ্রোজ, তিনি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড-এর মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটির নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন আমেরিকার ক্রিস্টেন স্প্রাগ, রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খ। শব্দ ও রঙ সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল প্যারিসের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে।
পুরস্কারসমূহ:
২০১৬: চিত্রনাট্যের জন্য এই ছবি পেয়েছিল ‘স্পাইক লি রাইটিং গ্রান্ট’।
- ২০১৬: ভারতের ফিল্ম বাজারের কে-প্রোডাকশন মার্কেটে নির্বাচিত হয়েছিল সিনেমাটির চিত্রনাট্য। (সেখানেই ইলান জিরার্দের সাথে সুমিতের পরিচয়।)
- ২০১৭: ছবিটি বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা।
- ২০১৮: ৮০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল ফরাসি সরকারের সিএনসি ‘সিনেমা দ্যু মন্ড‘ ফান্ড থেকে।
- ২০২০: ছবিটি টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স (টিএফএল) ডিজাইন ফান্ড ২০২০ জিতেছে। এর ফান্ডের আওতায় পেয়েছে ৪৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান। এ অর্থের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সিনেমা হলে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
- ২০২১ : কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড (শ্রেষ্ঠ এশীয় ছবি)।
নোনা জলের কাব্য জেলেদের ছবি, জেলেরাই দেখলো সবার আগে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৩৯:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
গত এক বছর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সাড়া জাগানো ছবি 'নোনাজলের কাব্য' - আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় মুক্তি পাচ্ছে।
বাংলাদেশে এ ছবির টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ এবং পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স। ছবিটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।
পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের জীবনযাত্রা নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি, প্রেক্ষাগৃহে সাধারণ দর্শকদের উদ্দ্যেশ্যে প্রদর্শনের আগে পটুয়াখালীর জেলে পরিবারদের জন্য প্রদর্শিত হয়। পটুয়াখালীর জেলেপল্লী কুয়াকাটা পিকনিক স্পট, চর গঙ্গামতীর জেলে পরিবারের জন্য ২২ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী উক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
২২ নভেম্বর সকাল ও বিকাল দুই বেলার প্রদর্শনীতে প্রায় ১২০০ দর্শকের উপস্থিতি ছিল। এই দিন প্রধান অতিথি হিসেব পটুয়াখালী জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় বিকালের প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।
‘নোনা জলের কাব্য’ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটেল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে 'নোনাজলের কাব্য'। তবে সবচেয়ে বড় খবর চলচ্চিত্র উৎসবের গন্ডি পেরিয়ে 'নোনাজলের কাব্য' পাড়ী জমিয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন COP26-এ।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে নভেম্বরের ৮ তারিখে আইম্যাক্স থিয়েটারে দেখানো হয় বাংলাদেশের এই চলচ্চিত্র। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এছাড়াও একই শহরে জাতিসংঘের COY16 সম্মেলনে অক্টোবরের ২৯ তারিখ দেখানো হয় 'নোনাজলের কাব্য'।
দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, সংস্কৃতির প্রসার এবং পরিবেশের অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্র তথা বিনোদন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে – এই বিশ্বাস নিয়েই পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মাণ করেছেন ‘নোনা জলের কাব্য’।
তিনি বলেন, “ছবিটি নির্মাণ করতে আজ থেকে তিন বছর আগে আমি গিয়েছিলাম পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত এক জেলেপাড়ায়। খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, উপকূলবর্তী সেই গ্রামটির এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। মহামারীর কারণে প্রায় ১.৫ বছর আমার সেখানে যাওয়া হয়ে উঠে নি, কিন্তু এবার যখন পরিচিত সেই জায়গার খোঁজে, প্রিয় সেই মানুষগুলোর খোঁজে গেলাম, গিয়ে দেখি সেখানে কেবলমাত্র কিছু গাছপালা ভেঙে পরে রয়েছে, জোয়ারের পানি উঠবে উঠবে ভাব। জানতে পারলাম এই অঞ্চলে গত ২-৩ বছর যাবৎ সমুদ্রের পানির উচ্চতা খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। জোয়ারের তীব্রতা তো রয়েছেই, গতবছর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান-ও অনেক ক্ষতি করেছে।”
এসকল প্রতিকূলতা গভীর সমুদ্রে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে তেমন একটা নেতিবাচক প্রভাব না ফেললেও, হারিয়ে যাচ্ছে অনাদিকাল থেকে চলে আসা এসকল প্রান্তিক জেলেদের উপার্জনের পন্থা। জেলেরা হারিয়ে ফেলছে প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকার ক্ষমতা। জীবিকার তাগিদে ধীরে ধীরে তারা পাড়ি জমাতে শুরু করেছে শহরাঞ্চলে।
সুমিত বলেন - “'নোনাজলের কাব্য' ছবিতে যে সকল জেলে ভাই বোনেরা অভিনয় করেছিলেন, তাদের কারও কারও সাথে আমার এবার দেখা হয়েছে। তাদের মুখে শুনেছি ইলিশ মাছও নাকি এখন অপ্রতুল। শুনে বুঝলাম তাদের জীবনের এই কঠিন বাস্তবতা আমার সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে। সংগ্রামী এই মানুষগুলোর গল্প বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা খুব জরুরি, সেই সূত্রেই জাতিসংঘের জলবায়ু কনফারেন্সে আবেদন করা। আয়োজকদের আমি বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই, কারণ তারা আমার ছবিকে, এবং আমার ছবির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছেন।
'নোনাজলের কাব্য' জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখ যুদ্ধের এক উপাখ্যান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।”
জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেছেন – “আমি সিনেমায় ‘চেয়ারম্যান’ এর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। একটি চমৎকার আবহে কাজটি করার সুযোগ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সততার এবং নিষ্ঠার সহিত সাথে কাজ করলে, একটি সিনেমা মানসম্মত হয়। আমি আশাবাদী, ‘নোনাজলের কাব্য’ আমাদের দেশের চলচ্চিত্র আঙ্গিনায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমি আপামর সিনেমাপ্রেমীদের অনুরোধ করবো, আপনারা সিনেমা হলে আসবেন এবং আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি করা এই ছবিটি বড় পর্দায় দেখবেন।”
'নোনাজলের কাব্য' প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ও ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরার্দ। জিরার্দ, ‘মার্চ অব দ্য পেঙ্গুইন‘, ‘গুডবাই বাফানা‘, ‘ফাইনাল পোর্ট্রেট‘-এর মতো বিখ্যাত কিছু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। ছবির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলসে বসবাসরত থাই শিল্পী চানানুন চতরুংগ্রোজ, তিনি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড-এর মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটির নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন আমেরিকার ক্রিস্টেন স্প্রাগ, রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খ। শব্দ ও রঙ সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল প্যারিসের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে।
পুরস্কারসমূহ:
২০১৬: চিত্রনাট্যের জন্য এই ছবি পেয়েছিল ‘স্পাইক লি রাইটিং গ্রান্ট’।
- ২০১৬: ভারতের ফিল্ম বাজারের কে-প্রোডাকশন মার্কেটে নির্বাচিত হয়েছিল সিনেমাটির চিত্রনাট্য। (সেখানেই ইলান জিরার্দের সাথে সুমিতের পরিচয়।)
- ২০১৭: ছবিটি বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা।
- ২০১৮: ৮০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল ফরাসি সরকারের সিএনসি ‘সিনেমা দ্যু মন্ড‘ ফান্ড থেকে।
- ২০২০: ছবিটি টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স (টিএফএল) ডিজাইন ফান্ড ২০২০ জিতেছে। এর ফান্ডের আওতায় পেয়েছে ৪৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান। এ অর্থের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সিনেমা হলে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
- ২০২১ : কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড (শ্রেষ্ঠ এশীয় ছবি)।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023