এআইইউবির ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) ২১তম সমাবর্তন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সদয় সম্মতিক্রমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে ডিগ্রি/সনদ বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এআইটি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজুও ইয়ামামোতো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জেড লামাগনা।
২১তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ৪ হাজার ৭২২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্ব ও সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিচে উল্লেখিত সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
(১) চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক - ৩টি (৪) সুম্মা কাম লাউড (গোল্ড)- ১২৮টি
(২) ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক - ৩৩টি (৫) ম্যাগনা কাম লাউড (রৌপ্য)- ২১৯টি
(৩) ভাইস চ্যান্সেলর পদক - ৩৪টি (৬) কাম লাউড (ব্রোঞ্জ) - ৫৬টি
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতকে বিশেষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এআইইউবি বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন যে, এআইইউবি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রমে এসটিইএম বিষয়গুলোসহ আইসিটি, বিদেশি ভাষা এবং সিইসি, মাইক্রোসফট, সিসকো, জুনিপার, ওরাকল, সান মাইক্রো সিষ্টেম, এসএপি, ফরটিনেট এবং ইসি কাউন্সিলের মতো বিশেষায়িত ও গুরুত্বপূর্ণ কোর্সসমূহ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আমি জেনে আরো খুশি হয়েছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই তাদের ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক স্ট্যাটিজিক প্লান প্রনয়ন করেছে। সব মিলিয়ে এআইইউবি’র ধারাবাহিক কার্যক্রম প্রমান করে যে, এটি একটি প্রযুক্তি নির্ভও শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক এবং ভবিষ্যতমুখী বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গঠনমূলক পরিবেশ, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যেমে সুযোগ্য নাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তার বক্তব্যে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল এবং কারিগরি শিক্ষাসহ বিশেষক্ষেত্রে পারদর্শী শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এই বিষয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তথ্য তুলে ধরেন।
সমাবর্তন বক্তা এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি), থাইল্যান্ড এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর কাজুও ইয়ামামোতো তাঁর শিক্ষা ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপস্থিত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা কর্মজীবনে পৃথিবীর যেই প্রান্তেই যাও না কেন, এআইইউবি থেকে যে মূল্যবোধ, জ্ঞান, সততা, আদর্শ অর্জন করেছো তা ভবিষ্যতে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন তাঁর স্বাগত ভাষণে ডিগ্রিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি শিক্ষিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র গ্রেড অর্জন বিবেচ্য হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের আজকের এই অর্জনের পিছনে কারিগর হিসাবে তাদের পরিবার, পিতা মাতা ও অভিভাবকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জেড লামাগনা তাঁর ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহিত ১০ বছরের কৌশলগত উন্ন্য়ন ও কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ে উল্লেখ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং সমাবর্তনে আগত সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের চারপাশের মানুষজনই তোমাদের জীবনের অস্তিত্ব এবং মূল্যায়নকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নিজের এবং তোমাদের চারপাশের মানুষজনের জন্য একটি ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করবে।
২১তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সাথে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল-হাসান, মো. মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, কামরুল ইসলাম রাব্বী, মো. এনামুল হক বিজয়, নাট্য অভিনেত্রী সাবিলা নূরসহ অনেকেই ডিগ্রী অর্জন করেন।
এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল আবেদীন হাসান, নাদিয়া আনোয়ারসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, এআইইউবির ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এআইইউবির ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) ২১তম সমাবর্তন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদের সদয় সম্মতিক্রমে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে ডিগ্রি/সনদ বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এআইটি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কাজুও ইয়ামামোতো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জেড লামাগনা।
২১তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ৪ হাজার ৭২২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্ব ও সর্বোত্তম ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিচে উল্লেখিত সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
(১) চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক - ৩টি (৪) সুম্মা কাম লাউড (গোল্ড)- ১২৮টি
(২) ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক - ৩৩টি (৫) ম্যাগনা কাম লাউড (রৌপ্য)- ২১৯টি
(৩) ভাইস চ্যান্সেলর পদক - ৩৪টি (৬) কাম লাউড (ব্রোঞ্জ) - ৫৬টি
নবীন গ্র্যাজুয়েটদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতকে বিশেষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এআইইউবি বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন যে, এআইইউবি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রমে এসটিইএম বিষয়গুলোসহ আইসিটি, বিদেশি ভাষা এবং সিইসি, মাইক্রোসফট, সিসকো, জুনিপার, ওরাকল, সান মাইক্রো সিষ্টেম, এসএপি, ফরটিনেট এবং ইসি কাউন্সিলের মতো বিশেষায়িত ও গুরুত্বপূর্ণ কোর্সসমূহ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। আমি জেনে আরো খুশি হয়েছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই তাদের ১০ বছর মেয়াদি একাডেমিক স্ট্যাটিজিক প্লান প্রনয়ন করেছে। সব মিলিয়ে এআইইউবি’র ধারাবাহিক কার্যক্রম প্রমান করে যে, এটি একটি প্রযুক্তি নির্ভও শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক এবং ভবিষ্যতমুখী বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গঠনমূলক পরিবেশ, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যেমে সুযোগ্য নাগরিক ও আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠার সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তার বক্তব্যে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল এবং কারিগরি শিক্ষাসহ বিশেষক্ষেত্রে পারদর্শী শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এই বিষয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তথ্য তুলে ধরেন।
সমাবর্তন বক্তা এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি), থাইল্যান্ড এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর কাজুও ইয়ামামোতো তাঁর শিক্ষা ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপস্থিত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা কর্মজীবনে পৃথিবীর যেই প্রান্তেই যাও না কেন, এআইইউবি থেকে যে মূল্যবোধ, জ্ঞান, সততা, আদর্শ অর্জন করেছো তা ভবিষ্যতে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন তাঁর স্বাগত ভাষণে ডিগ্রিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি শিক্ষিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র গ্রেড অর্জন বিবেচ্য হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের আজকের এই অর্জনের পিছনে কারিগর হিসাবে তাদের পরিবার, পিতা মাতা ও অভিভাবকদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. কারমেন জেড লামাগনা তাঁর ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহিত ১০ বছরের কৌশলগত উন্ন্য়ন ও কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ে উল্লেখ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং সমাবর্তনে আগত সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের তার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের চারপাশের মানুষজনই তোমাদের জীবনের অস্তিত্ব এবং মূল্যায়নকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। নিজের এবং তোমাদের চারপাশের মানুষজনের জন্য একটি ইতিবাচক এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করবে।
২১তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সাথে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় সাকিব আল-হাসান, মো. মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, কামরুল ইসলাম রাব্বী, মো. এনামুল হক বিজয়, নাট্য অভিনেত্রী সাবিলা নূরসহ অনেকেই ডিগ্রী অর্জন করেন।
এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল আবেদীন হাসান, নাদিয়া আনোয়ারসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, এআইইউবির ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।