রংপুরের বদরগঞ্জে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বদরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত আসমার ভাই তালেব হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। 

এদিকে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের জাম্বুরমোড় এলাকার একটি জঙ্গল থেকে ওই নারীর মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এজাহারে বলা হয়েছে, নিহত আসমার জন্মস্থান নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশিবাই এলাকার আরজি কাঁঠালি গ্রামে। তার বাবার নাম মোজাম্মেল হক। তিনি ছিলেন মানসিক রোগী। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বাংলায় ‘আসমা বেগম’ এবং ইংরেজিতে ‘আসুমা বেগম’ উল্লেখ রয়েছে। 

এছাড়া বাবার নাম ‘আসাদুল হক’ বলা হয়েছে। তার ঠিকানা দেখানো হয়েছে জলঢাকার মীরগঞ্জ এলাকার রাঙ্গামাটি এলাকায়। মামলায় এ তথ্যকে ভুল তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, তার মানসিক সমস্যার কারণে এটি হয়েছে, যা পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়নি।

এছাড়া তার প্রথমে বিয়ে হয় জলঢাকা উপজেলার খুটামারি এলাকার মোকলেছুর রহমানের সঙ্গে। সেখানে তার দুটি সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিচ্ছেদ ঘটলে আসমার দ্বিতীয় বিয়ে হয় তৈয়বুর রহমান ওরফে টুলু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। সেখানেও তার দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু মাঝে মাঝে তার মানসিক সমস্যা প্রকট হলে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আবার দুতিন মাস পর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। সর্বশেষ তিনি মাস দুয়েক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

এরপর বৃহস্পতিবার তার মাথাবিহীন গলিত লাশ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের যমুনেশ্বরী নদীর জলুবর চরের কাশবন থেকে উদ্ধার করা হয়। 

মামলায় আরও বলা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর পরিচয়বিহীন করতে মাথা বিচ্ছিন্ন করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ওই নারীর বিচ্ছিন্ন মাথা কালুপাড়া ইউনিয়নের জাম্বুরমোড় এলাকার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।