মোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্মকর্তার একসঙ্গে দুই স্থানে চাকরি!
বিমার পলিসি খুলতে অধীনস্থদের বাধ্য করার অভিযোগ
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ চিনিকলের কর্মকর্তা গৌতম কুমার মণ্ডল একই সঙ্গে করছেন দুই স্থানে চাকরি। তিনি মোবারকগঞ্জ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ফাইন্যান্স অ্যাসোসিয়েট পদে কর্মরত আছেন।
এছাড়া মোবারকগঞ্জ চিনিকলের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোর করে বিমার পলিসি খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে তার বরুদ্ধে। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির গত ১৪ সেপ্টেম্বরের গ্রাহকদের একটি তালিকা এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
সেই তালিকায় প্রজেক্টের নাম ১৭-আইপিএল-কৃষ্ণচূড়া। এ বিমা কোম্পানিতে গৌতম কুমার মণ্ডল ফাইন্যান্স অ্যাসোসিয়েট পদে গত চার বছর ধরে কর্মরত আছেন। তার অর্গানাইজার কোড এনও১০১১৭৯৬। এ তালিকায় ১৫ জন গ্রাহকের তথ্য রয়েছে।
প্রায় সবাই মোবারকগঞ্জ চিনিকলে বিভিন্ন পদে কর্মরত বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন সিআইসি, সিডিএ, সাবজোন প্রধান, আখচাষি, সিকিউরিটি গার্ডসহ বিভিন্ন পদে কর্মরতরা।
চিনিকলে বিভিন্ন পদে কর্মরত ও প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কয়েকজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই কৃষ্ণচূড়া প্রজেক্টের আওতায়। তাদের এ বিমা করিয়েছেন চিনিকলের কৃষি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক গৌতম কুমার মণ্ডল। বিমার পলিসি খুলতে না চাওয়ায় বিভিন্নভাবে হয়রানিও করা হয়েছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে তারা বিমার পলিসি খুলেছেন। চাকরিতে ঝামেলা হবে বলে কেউ নাম প্রকাশ করতে সাহস পান না।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গৌতম কুমার মণ্ডল প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ফাইন্যান্স অ্যাসোসিয়েট পদে কর্মরত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি এখান থেকে কোনো বেতন-ভাতা নিই না। নতুন গ্রাহক দিলে তারা আর্থিক সুবিধা প্রদান করেন।’
সরকারি চাকরির পাশাপাশি অন্য স্থানে চাকরি করা যায় কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখনই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আমার নাম কাটানোর ব্যবস্থা করছি।’
চিনিকলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আ ন ম জুবায়ের বলেন, সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী গৌতম কুমার মণ্ডল সরকারি চাকরির পাশাপাশি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হতে পারবেন না।
