টানা তিন দিন পল্লি চিকিৎসকের বাড়িতে মাদ্রাসাছাত্রীর অনশন
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়ের দাবিতে এক মাদ্রাসাছাত্রী টানা তিন দিন ধরে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের বাড়িতে অনশন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের পূর্ব বিরবিরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের ভিড়ে গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের পল্লি চিকিৎসক ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী নাহেদ উদ্দিনের দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
অভিযোগে বলা হয়েছে, একাধিকবার বিয়ের দাবি জানালেও নাহেদ তা এড়িয়ে যান এবং হঠাৎ করেই আত্মগোপনে চলে যান। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রী নাহেদের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন এবং ঘোষণা দেন—‘আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি এই বাড়ি ছাড়ব না।’
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অনশনে থাকা ওই ছাত্রীকে ঘিরে শতাধিক উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন।
ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক রয়েছে। নাহেদ আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তার পরিবার অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি ফোন করলেও সে বন্ধ করে রেখেছে। তাই আমার অধিকার আদায়ের জন্য এখানে অবস্থান নিয়েছি। প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করব, কিন্তু বিয়ে ছাড়া এখান থেকে যাব না।
অন্যদিকে অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসক নাহেদ উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এই মেয়েটি অনেক দিন ধরেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কয়েকবার আমার পথ আটকেছে। একটি প্রভাবশালী মহলও এ ষড়যন্ত্রে জড়িত। যদি প্রমাণ হয় আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, তবে সমাজ যা শাস্তি দেবে আমি মেনে নেব।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে কয়েকবার গ্রাম্য সালিশ হলেও সম্পর্কের কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় সমাধান হয়নি। তাই খালেদা সরাসরি অনশনে বসেছেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
