Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্বামীকে বেঁধে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

Icon

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম

স্বামীকে বেঁধে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে বাবার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বেড়াতে আসেন নববধূ। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই নববধূকে গণধর্ষণ করেন ৪ যুবক। এ সময় ভিডিও ধারণ করে পুনরায় কুপ্রস্তাব দেয়।

এ ঘটনার ৩ মাস পর দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর ১ জনকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। 

জনা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৮ বছরের এক তরুণী পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।

বিয়ের কিছুদিন পর ঈদের ছুটি কাটাতে বাবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৭ জুন রাতে স্বামী-স্ত্রী বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় একই গ্রামের চার যুবক দম্পতির কাছে জানতে চায় বিয়ের কাবিননামা আছে কিনা। এ কথা বলেই স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে বেঁধে রাখে এবং তার স্ত্রীকে পাশের স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। 

নববিবাহিত দম্পতি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গোপন রেখে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু ধারণ করে রাখা ধর্ষণের ভিডিও তরুণীকে পাঠিয়ে আবারও কুপ্রস্তাব দেয় ধর্ষকরা। বিষয়টি তরুণী তার মাকে জানালে তার মা বাদী হয়ে তিন মাস পর গত ২০ সেপ্টেম্বর দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- চকারচর গ্রামের শাহাজলের ছেলে আলিম (২৭), শিক্ষক কবিরুল মাস্টারের ছেলে বিদ্যালয় ঝাড়ুদার রিপন (২৬), আমের আলীর ছেলে বিপ্লব (২৬) ও মিরাজুলের ছেলে খলিল (২৫)।

গত ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে বিপ্লব নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

ওই নববধূর মা জানান, সপরিবারে তারা ঢাকায় বসবাস করেন। গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। স্থানীয় প্রভাবশালীর ছেলেরা তার মেয়েকে গণধর্ষণ করে। ভিডিও দেখিয়ে পুনরায় কুপ্রস্তাব দিলে বিষয়টি তার মেয়ে তাকে জানায়। তিনি মামলা করেছেন। 

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গণধর্ষণের মামলায় একজনকে কোনাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। 

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, ৪ জনের মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম