সোনারগাঁ পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধন
যুগান্তর প্রতিবেদন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার খাসনগর দীঘিরপাড়, হাতকোপা, দত্তপাড়া ও দৈলরবাগসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অব্যাহত জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ পৌরসভার খাসনগরদিঘীর পূর্বপাড়ে স্থানীয় পাঁচ গ্রামের কয়েকশ নারী-পুরুষসহ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- খাসনগর দীঘিরপাড় গ্রামের ব্যবসায়ী আক্কাস আলী, শফিকুল ইসলাম শফি, আবুল কাশেম, আব্দুল খালেক, আব্দুল বাতেন, কাজল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সোনারগাঁ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের খাসনগরদিঘীর পূর্বপাড়, দৈলরবাগ, হাতকোপা এবং ৮নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া চৌদানা গ্রামসহ পাঁচটি গ্রামের কয়েকশ পরিবার অব্যাহত জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীতে বৃষ্টির পানি বের হওয়ার জায়গাগুলোতে প্রভাবশালী দখলদাররা বালু ফেলে ভরাট করে ফেলায় বিগত কয়েকবছর যাবত জলাবদ্ধতা স্থায়ী আকার ধারণ করেছে।
তারা বলেন, পানি নিষ্কাশনের ওই এলাকার একাধিক খাল ও পুকুর ভরাট করে ফেলায় পানি বের হওয়ার জায়গাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ওই এলাকার রাস্তা-ঘাট ও গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এ পানি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে গিয়ে এলাকাবাসী খোঁচ-পাচড়া, সর্দি-ঠাণ্ডা ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতশত মানুষ প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন মুসল্লিরা জলাবদ্ধতার কারণে সময়মতো মসজিদে যেতে পারছেন না।
খাসনগর দীঘির পূর্বপাড় গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সোনারগাঁ পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। সোনারগাঁ পৌরসভা থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে এর কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সোনারগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ফারজানা রহমান জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ পেলেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু করা হবে।
