সোনারগাঁয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে জখম, শ্লীলতাহানির অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজনদের হামলায় মাহমুদা আক্তার নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত হয়েছেন। এ সময় ওই নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত ওই নারীকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকার বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মিলন মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ মিয়ার মুদি দোকানে চুরির ঘটনা উল্লেখ করে মিলন মিয়ার ছেলে রিয়াদ ও ভাগিনা রাহাতকে দোষারোপ করা হয়।
এ ঘটনায় সিসিটিভি পর্যাবেক্ষণ করে প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে ইমরান, সম্রাটসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিলন মিয়ার চাচাতো বোন মাহমুদা আক্তারের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা অন্তঃসত্ত্বা মাহমুদা আক্তারকে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ওই নারীর শরীরের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে ও শ্লীলতাহানি করে। পরে এলাকাবাসী আহত ওই নারীকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রোববার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আহত নারীর স্বামী ইমরান হাসান পাভেল জানান, তার স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জমি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রীর ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ন্যায়বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি ওই নারীকে মারধর করেননি। মোবাইলে লাইভ করছিল, তা কেটে দিতে গিয়ে জোর জবরদস্তি হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধর করার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
