Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাস্তায় চলতে কাঁদছে মানুষ, কথা রাখেনি কেউ

Icon

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম

রাস্তায় চলতে কাঁদছে মানুষ, কথা রাখেনি কেউ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ডিসি রাস্তার সংযোগ সড়ক মোংলাবন্দর থেকে উত্তরে গ্রামান্তর প্রবেশদ্বারে একমাত্র কাঁচা রাস্তাটির বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা হয়।

এ সময় হালকা যানবাহন নিয়ে দূরের কথা হেঁটে চলতে গিয়ে অনেকে উল্টে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকেন। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী। রাস্তাটি পাকাকরণে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি কেউ।

সরেজমিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউনিয়নের মোংলবন্দর থেকে উত্তর দিকে সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকিরের বাড়ি ঘেঁসে বুজরুক রসুলপুর হামিদ মণ্ডলের ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত দেখা গেছে- রাস্তাটির নাজুক অবস্থার চিত্র।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক যুগ আগে ওই রাস্তাটি তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল জনস্বার্থে প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের ভেতর দিয়ে নতুন করে কাঁচা রাস্তা তৈরি করেন। এ রাস্তা দিয়ে সমাজের মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে যান মুসল্লিরা। শুধু তাই নয়, ১ হাজার ২শ মিটার এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন রিকশাভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। এতে শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় জলাবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় হাঁটু কাদা। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এ রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় যাতায়াতের কষ্ট। এতে চলতে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় জেলার অন্যান্য উপজেলার কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও, অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মোংলাবন্দর-হামিদ মণ্ডলের ঈদগাহ মাঠের রাস্তাটি। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়। এ রাস্তা জরুরিভাবে পাকাকরণ দরকার।

বুজরুক রসুলপুর (পিরোজপুর) গ্রামের বাসিন্দা ও সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকির বলেন, যখন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয় তখন এ পথে প্রার্থী ও কর্মীদের পদচারণ বেড়ে যায়। রাস্তাঘাটসহ নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তারা। আর নির্বাচিত হলে সহজে দেখা মেলে না তাদের। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও আজও কথা রাখেনি কেউ।

এ বিষয়ে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, ওই রাস্তাটির ব্যাপারটি আমার মাথায় আছে। এটি পাকাকরণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হতে পারে বলে আশাবাদী।

সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. মেনহাজ জানান, কাঁচারাস্তা পাকাকরণে এখন কোনো বরাদ্দ নেই। সামনে কোনো প্রজেক্ট এলে করে দেবেন তিনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম