Logo
Logo
×

সারাদেশ

অসম প্রেম

বিয়ের দাবিতে ১৯ বছরের কিশোরের বাড়িতে নারীর অনশন

Icon

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম

বিয়ের দাবিতে ১৯ বছরের কিশোরের বাড়িতে নারীর অনশন

এ এক অসম প্রেম। ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে ১৯ বছরের এক তরুণের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন কলেজ পড়ুয়া ছেলের মা (৪৫)। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাল গ্রামস্থ পোশাক শ্রমিক মো. সজীব হোসেনের বাড়িতে অনশনে বসেছে ওই নারী।

বিয়ের দাবিতে অনশনরত ওই নারীর বাড়ি উপজেলার নান্নার ইউনিয়ন সদরে। তিনি উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকাস্থ মাহমুদা গ্রুপের রাইজিং বিডি পোশাক কারখানার একজন নারী শ্রমিক। ওই নারীর ছেলে মানিকগঞ্জের একটি কলেজে পড়াশুনা করে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ওই নারী পোশাক শ্রমিক ও সজীব হোসেন নামের ওই পোশাক শ্রমিক রাইজিং বিডি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন দীর্ঘ ৪ বছর ধরে। একই কর্মস্থলে চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে গড় উঠে এক অসম প্রেম। এক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রিসোর্ট ও বন্ধুবান্ধবদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

বিয়ের করার আশ্বাসে ওই নারী পোশাক শ্রমিকের কাছ থেকে সজীব হোসেন ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বিয়ের জন্য ওই নারী শ্রমিক পর্যায়ক্রমে চাপ দিলে ওই পুরুষ শ্রমিক নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপণ এবং টালবাহানা করতে থাকেন।

কোনো উপায়ন্তর না দেখে নিরুপায় ও হতাশ হয়ে পড়া ওই নারী পোশাক শ্রমিক বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে সজীব হোসেনের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ সময় সজীব হোসেন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন ওই নারী শ্রমিকের নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই নারী শ্রমিক এ বাড়ি থেকে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত চলে যেতে নারাজ।

সজীব হোসেনের পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই নারী শ্রমিকের সঙ্গে সজীবের প্রেম-ভালোবাসার বিষয়ে আমরা জানি না। সজীব যদি বিয়ে করে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সজীব বাড়িতে না আসা পর্যন্ত এই নারীকে আমাদের বাড়িতে একা রাখা সম্ভব নয়।

বিয়ের দাবিতে অনশনরত ওই নারী পোশাক শ্রমিক জানায়, আমার সঙ্গে সব কিছু জেনেশুনেই ৪ বছর ধরে সজীব প্রেম করেছে। তার সঙ্গে আমার সবকিছু হয়ে গেছে। এখন টালবাহানা করে কোনো লাভ নেই। বিয়ে ওকে করতেই হবে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার নিকট থেকে সজীব ৩ লাখ টাকা নিয়েছে। আর এখন সে আমাকে দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। কোনো ক্রমেই সে আমার কাছ থেকে রেহাই পাবে না। আমি ওকে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব; যা দেখে কোনো পুরুষ মানুষ কোনো নারীদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।

এ ব্যাপারে কাওয়ালী পাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে কেউ পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম