দুই শিক্ষার্থী গ্রেফতারের প্রতিবাদে রৌমারী থানা ঘেরাও
ওসির অপসারণ দাবি
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে চুরির অভিযোগে সন্দেহভাজন দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ঘটনায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন ছাত্র-জনতা। এ সময় ওসি সেলিম মালিকের অপসারণ চান বিক্ষোভকারীরা।
তাদের দাবি, ঘটনার প্রকৃত তদন্ত না করে মামলার বাদীর সঙ্গে যোগসাজশ করে পুলিশ অন্যায়ভাবে ওই দুই শিক্ষার্থীর নামে মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীরা হলো- উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা পূর্বপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক (১৫) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৬)। তারা দুজনই দাঁতভাঙ্গা হাইস্কুলে লেখাপড়া করে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামবাসীর ব্যানারে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেন ছাত্র-জনতা। এতে অংশ নেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সব শ্রেণিপেশার দুই শতাধিক মানুষ।
পরে তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে অবস্থান নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে থানার মেইন গেট বন্ধ করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়েত প্রবাসী জহিরুল ইসলামের বাড়িতে স্বর্ণালংকার, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি শেষে বাড়ির দুইটি ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই শিক্ষার্থীসহ ৫ জনকে আটক করে প্রবাসী জহিরুল ইসলামের পরিবার। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার জড়িত রয়েছে কিনা তা সঠিক তদন্ত না করে আটকদের থানায় নিয়ে আসে।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ফিরোজ মিয়া, মীম আক্তার, জাকিয়া আক্তার, আশিক ও মাহমুদুল অভিযোগ করে বলেন, চুরির অভিযোগ সঠিক তদন্ত না করে অন্যায়ভাবে দুই শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনামুল ও সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি চাই।
গ্রেফতারকৃত দুই শিক্ষার্থীর বাবা ছক্কু মিয়া ও আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে ছেলেদের (শিক্ষার্থী) থানায় নিয়ে এসে চুরির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। এই দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মালিক বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সঠিক তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আর যারা নিরপরাধ তাদের যাদে আদালত পর্যন্ত যেতে না হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগগুলো সব মিথ্যা। বাদীর এজাহার অনুযায়ী দুই শিক্ষার্থীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মো. রাসেল কবির বলেন, ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই। আমি ঢাকায় একটি ট্রেনিংয়ে আছি।
