‘হুজুরকে’ দাওয়াত না দেওয়ায় বিয়েবাড়িতে সংঘর্ষ, আহত ১১
হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিয়েবাড়িতে স্থানীয় হুজুরকে দাওয়াত না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের লামছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন— হেলাল উদ্দিন, ইমতিয়াজ, ফরিদ উদ্দিন, ওমর ফারুক, কোহিনুর বেগম, উম্মে কুলসুম, নাজিম উদ্দিন, মারজান উদ্দিন, সাইফুজ্জামান, শাহাবউদ্দিন ও মহিমা বেগম। এদের মধ্যে কোহিনুর বেগম ও ফরিদ উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার শাহাবউদ্দিনের ভাইয়ের মেয়ের বিয়েতে সমাজের হুজুরকে বাদ দিয়ে বাইরের এক হুজুরকে দাওয়াত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন হেলাল মাঝি ও তার অনুসারীরা। বিষয়টি মীমাংসার জন্য রোববার বিকালে গ্রামে বৈঠক বসে। বৈঠকে প্রথমে তর্কবিতর্ক এবং পরে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে আহত ও বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের পারিবারিক হুজুরকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। এতে হেলাল মাঝির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়ের দিন বাধা দেন। আজ আবার দোকানে গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে আহত হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি স্থানীয় মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে বিষয়টি জানতে চাইলে, শাহাবউদ্দিন আমাকে হুমকি দেন। আজ আবার তার পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল আবেদীন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। জনরোষ থেকে শাহাবউদ্দিন ও মারজানকে রক্ষা করে থানায় আনা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
