হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সলের নাম।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করেন।

প্রার্থী ঘোষণা হতেই মাধবপুর ও চুনারুঘাটে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ।

দীর্ঘদিন পর এ আসনে একটি গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন- এবারের নির্বাচনে বিএনপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে। প্রার্থী ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মাধবপুর ও চুনারুঘাটের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কার্যালয়ে আনন্দ মিছিল ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান।

মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কেন্দ্রীয়ভাবে সৈয়দ মো. ফয়সল সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, এলাকার একজন সেবক। ইনশাআল্লাহ আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি বলেন, এটা দলের সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা তৃণমূলের কর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিনন্দন জানাই। ইতোমধ্যে বিএনপির কর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছে। সৈয়দ ফয়সল সাহেব একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি দলের দুঃসময়েও কখনো পিছিয়ে যাননি। তার নেতৃত্বেই এবার আমরা এ আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, সৈয়দ মো. ফয়সলের জনপ্রিয়তা শুধু বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষও তাকে ভালোবাসে। তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তার মতো অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য প্রার্থী বিএনপিকে আবারও মাঠে ফিরিয়ে আনবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী গোলাপ খান বলেন, এখন আমরা একসঙ্গে ধানের শীর্ষ প্রতীক বিজয়ের কাজ করব ইনশাল্লাহ।

পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুকুর রহমান বলেন, ফয়সল সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমরা উজ্জীবিত। বহু বছর পর মনে হচ্ছে বিএনপি আবারও শক্তভাবে নির্বাচনি মাঠে ফিরছে। তার নেতৃত্বে কর্মীরা সংগঠিত হবে।

সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, সাধারণ মানুষ খুশি। সৈয়দ ফয়সল সবার নেতা। তিনি কখনও দলীয় সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকেন না। উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই তার অবদান রয়েছে।

চা শ্রমিক নেতা খেলু নায়েক বলেন, আমাদের বাগান অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ফয়সল সাহেব আমাদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। আমরা তাকে বিশ্বাস করি, কারণ তিনি আমাদের কষ্ট বোঝেন। তার প্রার্থিতা শ্রমিকদের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে।